বঙ্গ ডেস্কঃ 1 August 2020 , 2:57:05 প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক মাদ্রাসা সুপারের দায়িত্ব অবহেলার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ-উল-আযহার আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, মাদ্রাসা সুপার ঈদ-উল আযহার উৎসব ভাতা বিল তৈরি না করে অন্য একটি মাদ্রাসার তদবিরের কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারী উৎসব ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টের মুখে পড়েছেন। ওই ঘটনায় শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তনুরাম সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল্লাহেশ শাফী সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ-উল-আযাহার উৎসব ভাতা বিল সীটে ১২ দিন আগে স্বাক্ষর নেন। এরপর ওই সুপার যথাসময়ে বিল ব্যাংকে দাখিল না করে পার্শ^বর্তী এলাকার অস্তিত্বহীন ও বিতর্কিত দুর্গাপুর ভেলুর খামার দাখিল মাদ্রাসার তদবির নিয়ে ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান করেন। এমনকি ওই সময় তাঁর মোবাইল ফোনটিও সার্বক্ষণিক বন্ধ করে রাখেন।
এদিকে করোনা ও বন্যায় আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ ঈদ উল-আযহার উৎসব ভাতার আশায় প্রতিদিন ব্যাংকে খোঁজ খবর রাখছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকে কোনো বিল দাখিল না করায় শিক্ষকরা হতাশ হয়ে পড়েন। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত সুপারের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। সরকার ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা দিয়েছে অথচ সুপারের দায়িত্বহীনতার কারণে আমরা উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হলাম। পরিবার নিয়ে কিভাবে ঈদ করবো জানিনা।
মাদ্রাসা সুপার আব্দুল্লাহেশ শাফী’র সাথে মুঠোফোনেএকধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।