বঙ্গ ডেস্কঃ 13 July 2020 , 11:24:56 প্রিন্ট সংস্করণ
ঠিকাদার মিঠু ও তার সিন্ডিকেটের অনিয়ম আর দুর্নীতিতে পরিণত হয়েছে রংপুর মেডিকেল। ফলে করোনাকালের মহাসংকটে ন্যূনতম চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক সার্জারি, বার্ন ইউনিট অকার্যকর। এমআরআই ও ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানো হলেও চালু হয়নি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটির দৈন্যদশা।
লোহা লক্কড়, ভাঙাচোরা বেডের স্তূপেই রংপুর মেডিকেলের করোনার কেয়ার ইউনিট, সিসিইউ। ১৫টি বেডের প্রায় সবকটি শূন্য। বেডের পাশে খোলসগুলো দেখা গেলেও ভেতরে ফাঁকা, নেই যন্ত্রাংশ। ইসিজির মতো জরুরি মেশিন থাকলেও সেটা কাজ করে না।
বার্ন ইউনিটের ইনচার্জ জানালেন, মেশিনপত্র খুলে নেয়া হয়েছে আইসিইউতে। আর আইসিউ লকডাউন করোনা সংক্রমণের কারণে। আর বেশিরভাগ কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস করতে পারেন না মেশিন নষ্ট।
মেশিনপত্র বসানো হয়নি বলে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালু হয়নি গত ৫ বছরে। এমআরআই ও ডিজিটাল এক্সরে মেশিন উদ্বোধনের পর চালুই হয়নি। বছর খানেক ধরে সেটিং এর অপেক্ষায় পড়ে আছে নতুন মেশিন।
করোনা প্রতিরোধে নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক খন্দকার ফকরুল আনাম বলেন, এখান থেকে সাধারণ মানুষ যে উপকৃত হওয়ার কথা তারা কিন্তু বাইরে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে যেসব যন্ত্রাংশ সে দিয়েছে তার বেশিরভাগই অকেজো।
জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ লোপাটের অভিযোগ উঠলেও এর কোনো জবাব নেই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের কাছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. রুস্তম আলী বলেন, আমার জয়েন ৬ মাস, এরমধ্যেই সব জানা তো সম্ভব নয়।
স্থানীয়রা বলছেন, টানা তিনটি মেয়াদে বর্তমান সরকার এই হাসপাতালের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অনেক উদ্যোগ নিলেও নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আর অনিয়মের মাধ্যমে বরাদ্দের বড় অংশ লোপাট করে নেয় ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু ও তার সিন্ডিকেট