সারাদেশ

এসপি মোখলেছুর রহমান উন্মোচন করল ভুয়া এসপির মুখোস

  মোঃ রাব্বি ইসলাম আব্দুল্লাহ, (নীলফামারী জেলা) প্রতিনিধি 22 September 2020 , 9:02:09 প্রিন্ট সংস্করণ

এসপি মোখলেছুর রহমান উন্মোচন করল ভুয়া এসপির মুখোস

নীলফামারীর এসপি মোখলেছুর রহমানের কাছে ধরা খেয়েছেন ভুয়া এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ওরফে নীরব। ৮জনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা আদায়ের পর এসপি মোখলেছুর রহমানের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টাকালে গ্রেফতার হয় সে।

নীরব নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চৌরাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার মধ্যম হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় বসবাস করে সে।
২২ শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমানের নানা কুকীর্তি তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম।

এ সময় এসপি মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার নিজস্ব ফেসবুক থেকে ছবি সংগ্রহ করে ভুয়া এ্যাকাউন্ট খুলে সে। বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে আমার নাম ব্যবহার করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে বিষয়টি নজরে আসে এবং তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সৈয়দপুর শহরের শুটকির মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারই সহযোগী চাচাতো বোন সুফিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয় দিনাজপুর জেলার কাহারোল এলাকার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে।

এসপি আরও বলেন, প্রতারক নীরব ডিআইজি, বিভিন্ন জেলার এসপির নামে ভুয়া ম্যাসেঞ্জার খুলে সরকারের বিরুদ্ধে কুরুচি পুর্ণ মন্তব্য, দেশদ্রোহী কমেন্ট, লাইক শেয়ার করা এমন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফোন করতো এবং টাকা আদায় করতো মামলা থেকে বাঁচতে। তার এই কাজে সহায়তা করতো চাচাতো বোন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুফিয়া বেগম। বিকাশে টাকা আদায়ে সুফিয়ার ০১৩০১১৭৭৯৩০ নম্বরটি ব্যবহার করা হতো। বিকাশে আসা টাকা তারা দু’জনে ভাগ করে নিতো। নীরব ভোলা জেলা থেকে এই প্রতারণা শুরু করে একজন এসআই এর ছবি ব্যবহার করে ভুয়া আইডি খুলে।
এনিয়ে মামলা হলে ২৩মাস জেল খেটে বের হয়ে আসলে পরিবারের সদস্যদে সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়।

বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর আবারো নতুন করে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা শুরু করে সে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৫হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে সে। ৬৮জনের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা আদায় করেছে সে। যেটি বিকাশের স্টেটমেন্টে প্রাথমিক ভাবে পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে এবং কতজনের সাথে প্রতারণা করেছে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান এসপি মোখলেছুর রহমান।

বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার দু’জনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্তপুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অশোক কুমার পাল, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হারুন উর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।