বঙ্গ ডেস্কঃ 26 July 2020 , 7:10:08 প্রিন্ট সংস্করণ
কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর হাটে পশু ক্রয় ও বিক্রয়ে হাট ইজারাদার দীর্ঘদিন থেকে সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় অতিরিক্ত টোল আদায় করে ক্রেতা বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকায়।
সরেজমিনে গত শনিবার বিকালে টেপামধুপুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পছন্দের পশু কেনার জন্য দুরদুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছে হাটে। এই হাটে প্রচুর গরু-ছাগল এর আমদানী হয়ে থাকে আর এই সুযোগে হাটের ইজারাদার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তার লোকবল দিয়ে টোল আদায়ের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার ইচ্ছা মাফিক গরু ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে ইচ্ছা মাফিক টোল আদায় করছে। গরু কিনতে আসা মোস্তাফিজার ও আলী জানান গরু প্রতি বেক্রার কাছ থেকে ৬০০ থেকে ৮০০ বিক্রেতার কাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩৫০ এবং ছাগল ক্রেতার কাছ খেতে ৩০০ ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকা আদায় করছে অথচ রশিদে সেই টাকা তোলা হচ্ছে না। এভাবে জনগনের আর্থিক ক্ষতি করলেও কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। ইজারাদার জনগন এর পকেটের টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিন্তু জনগনের করার কিছুই নাই। ঈদের আগে সকলে পছন্দের পশু ও প্রয়োজনীয় কেনা কাটা নিয়ে ব্যাস্ত, টোল নিয়ে ইজরাদারের সাথে কোন ঝামেলায় জড়াতে চায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজানান অতিরিক্ত টোলের টাকা প্রভাবশালীমহল থেকে শুরু করে প্রায় সকলেই ভাগ পায়, তাই সকলেই দেখেও না দেখার ভান করে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতা জানান এই হাটে স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই, সামাজিক দুরত্ব কাগজে কলেমে আর মাইকে প্রচারে সীমাবদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে ইজারাদার স্বপন মিয়া মুখ খুলতে নারাজ। এ ব্যপারে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম বলেন আমি শুনেছি আমি নিজে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। থানা অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি নির্বাহী অফিসার কে জানাব এবং আমি নিজে হাটে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। হাটের ইজারাদারের এ অনৈতিক কাজ বন্ধের ব্যপারে ভোক্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।