মোস্তাক আহমেদ , কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি 7 November 2020 , 6:02:08 প্রিন্ট সংস্করণ
কাউনিয়ায় ব্যস্ততম এলাকা ও লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম জেলার সিংহদ্বার কুড়িগ্রাম বাস স্ট্যান্ডে গণ-শৌচাগারের বেহালদশায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরমে। এসব দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাসে ওঠার পূর্বে যাত্রীদের প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে হলে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। স্থানীয় মাছবাজারের পাশে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট যাওয়া যাত্রীদের বাসের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়, কিন্তু এখানের বসার মতো কোন পরিবেশ নেই। এছাড়াও ওই একই স্থানে মহেন্দ্র গাড়ী, চার্জার অটো ও মাইক্রোবাসের ষ্টান্ড রয়েছে। এই স্টান্ডে প্রতিদিন শত শত যাত্রী গাড়ীতে ওঠা নামা করে। দীর্ঘদিন ধরে এই বাস স্টান্ডের গণ-শৌচাগারটির বেহালদশার কারনে যাত্রী সাধারণের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে মহিলা যাত্রিদের বিরম্বনার শেষ নেই।
বাস ষ্টান্ডে প্রায় দেড় যুগ আগে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান ও পার্শে পুরষদের জন্য ২টি প্রসাবখানা থাকলেও কোন পায়খানা তৈরী হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী ছাউনি ও প্রসাবখানা সংস্কার না করায় তা ব্যবহার অনুপযুগি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুইপার একটি কাচা পায়খানা বসিয়ে ব্যবসা করলেও সেটিও প্যান নষ্ট হয়ে গিয়ে ব্যবহার অনুপোযী হয়ে পড়েছে। বহুবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় মিটিং এ গণ-শৌচাগার নির্মানের প্রস্তব হলেও কার্যত তা করা হয়নি। যাত্রী ছাউনিটি মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় সেটিও এখন অচল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাস স্ট্যান্ড এলাকার স্থানীয় দোকানদার,লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামগামী যাত্রীদের প্রস্রাব পায়খানার চাপ দিলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। তখন তারা পায়খানা প্রস্রাব খানার সন্ধানে বের হয়। পুরুষ যাত্রীরা রাস্তার পাশে প্রস্রাব করার কাজটি সারতে পাড়লেও পায়খানার চাপ দিলে তাদের বেকার পড়তে হয়। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তাদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে স্থানীয় কারো বাড়ীতে কিংবা বিশেষ কোন হোটেলের পায়খানা প্রস্রাব খানা ব্যবহার করতে হয়। এভাবে বছরের পর বছর ধরে যাত্রীদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অবর্নণীয় দুভোর্গে পড়তে হচ্ছে। কুড়িগ্রাম গামী যাত্রী জাহানারা জানান তার স্বামীর কর্ম স্থলে যেতে ও বাড়ীতে আসা যাওয়ার কারণে এই বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু যাত্রী ছাউনীতে শৌচাগার না থাকায় দুভোর্গ পোহাতে হয়। পুরুষরা মসজিদে গিয়ে প্রকৃতির ডাক সারতে পারলেও মহিলাদের বেকায়দায় পড়তে হয়।
মাছবাজারের দোকানদার নান্টু বলেন, বাস স্ট্যান্ডে শৌচারগারের বেহালদশার কারনে দোকানদার ও যাত্রীদের চরম বেকায়দায় পড়তে হয়। ব্যবসায়ীরা জানান এই বাস স্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট্ নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদে আবেদন জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। এইবাস স্ট্যান্ড ছাড়াও রেলগেইট, ভেলুপাড়া, জুম্মাপাড়, মীরবাগ, বিজলের ঘুন্টি বাস স্টান্ডেও শৌচাগার নেই। যাত্রী সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা জরুরী ভিত্তিতে গণ-শৌচাগার নির্মাণের দাবী জানিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা স্ট্যান্ডে একটি গণশৌচাগার করা হয়েছে। সমস্যাটি অবগত হয়েছি চেষ্টা করবো সমস্যার সমাধান করেতে।