সারাদেশ

কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা ভবন নিমার্নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

  বঙ্গ ডেস্ক 20 July 2020 , 3:10:04 প্রিন্ট সংস্করণ

কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা ভবন নিমার্নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা ফাজিল মাদ্রাসার  ভবন নিমার্নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তদারকির অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান  ভবনের গ্রেট বিম ঢালাই ও ছাদ ঢালাইসহ অন্যান কাজে নিম্নমানের সামগ্রী  ব্যবহার করেছেন। ফলে ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের একদিনের মাথায় সমস্ত খোয়া বের হয়ে পড়েছে। এছাড়াও প্রকল্প  এলাকায় কাজের বিবরণ ও তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর কথা থাকলেও তা লাগানো হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ভবনটির গ্রেটবিম ঢালাইয়ে নিম্নমানের সামগ্রী এবং রট কম দেওয়ায় গ্রেট বিম হেলে পড়েছিল। পরে বিষয়টি তদারকি কর্মকতার্কে জানালে তিনি এসে তড়িঘরি করে গ্রেট বিম ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে গ্রেট বিম তৈরী করে নেন। তবে নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এবং ভবন নিমার্ণের তদারকি কর্মকতা মোঃ লতিফুর রহমান লিখন বলেন একটি কলামের এ্যালাইনম্যান্ট ঠিক না থাকার কারণে  সেটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে কলাম নিমার্ণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কেশবা ফাজিল মাদ্রাসাটির চারতলা ভবনের নিমার্ণ কাজ চলমান রয়েছে। গোটা উপজেলার সকল মাদ্রসার ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে এই মাদ্রাসাটি ব্যবহার করা হয়। মাদ্রাসাটিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে এবং দ্বিতল কিংবা চারতলা বিশিষ্ট কোন ভবন না থাকায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে চারতলা একটি ভবন নিমার্ণের জন্য তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পান দিনাজপুরের মা এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদারের বদলে কাজ করছেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মেসার্স শাহিন এন্টার প্রাইজ।
গত শুক্রবার ১৭ ই জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। অফিস বন্ধের দিন চারতলা ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ঢালাইয়ে সেলেকশন বালু , পিকেট ইটের খোয়া এবং মানসম্নত সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করার কথা থাকলে ঠিকাদার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে পাউডার যুক্ত কমদামের সিমেন্ট ,লোকাল বালু, এবং  নিম্নমানের খোয়া দিয়ে ঢালাই কাজ করছেন। বর্তমান সময়ে করোনা কোভিট-১৯ এর কারণে সকল মানুষকে মাস্ক পরার কথা। কিন্তু কোন শ্রমিকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাইয়ের কারনে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। সাংবাদিক দেখে ঠিকাদারের লোকজন তড়িঘরি করে ঢালাইয়ের সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে খোয়া ঢেকে দেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ বলেন, ভবনটির গ্রেট বিম ঢালাইয়ের সময় রট কম দেওয়ার কারণে গ্রেট বিম হেলে পড়েছিল। এছাড়াও ভবনটির ছাদ ঢালাইসহ অন্যন্য কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রাসার সুপার জালাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রসা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ঠিকাদার বেশি করে বালু এবং কম করে সিমেন্ট ব্যবহার করছিল। পরে তাৎক্ষনিক বিষয়টি তদারকি কর্মকতার্কে অবহিত করি। বাকিটা তদারকি কর্মকতাই বলতে পারবে।
ঠিকাদার শাহিন চেীধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভাই কাজে একটু উনিশ বিশ হতে পারে এটা কোন বিষয়না। তাছাড়া এগুলা নিয়ে লেখালেখি করে কোন লাভ হবেনা। বড় জোর একমাস কাজ বন্ধ থাকবে।
নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিবার্হী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ভবন নিমার্ণ কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। আমি সরেজমিনে গিয়ে কাজ দেখে কোন অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়ে বললে তিনি বলেন, আগামীকালকের মধ্যেই সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করছি।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।