বঙ্গ ডেস্কঃ 3 August 2020 , 2:19:28 প্রিন্ট সংস্করণ
প্যানেল মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য থেকে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়, এজন্য নগরীর রাস্তায় রাস্তায় ও অলিগলিসহ পশু জবাই করে রাখা স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডারের ছিটানো হয়েছে। ঈদের দিনে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করেছে। মূলত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই প্রথম দিনের বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। এছাড়াও ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও বর্জ্য অপসারণে কর্মীরা কাজ করেছে।
টিটু আরও জানান, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছিল। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ সহ কর্মকর্তারা পুরো কার্যক্রমের তদারকি করছেন।
সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে অধিকাংশ পশু জবাই হয়নি স্বীকার করে তিনি বলেন, স্বল্প সংখ্যায় হলেও নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের যে রীতি চালু হয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নগরবাসী তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে বলেও জানান প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু।
অন্যদিকে রসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহাবুবার রহমান মঞ্জু বলেন, ঈদের দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে নগরীর ০১, ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১৭, ১৯, ২০, ২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্য মুক্ত ঘোষণা করেছেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্য মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয় বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ঈদের দিন বেলা দুইটার সময় নগরীর শাপলা চত্বরে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু। এতে ২৪ ঘণ্টার আগেই বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এসময় রসিকের সচিব রাশেদুল হক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর মাহবুবার রহমান মঞ্জু, কাউন্সিলর সেকেন্দার আলী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার তিন জোনের প্রধান মিজানুর রহামন মিজু, হাসান রাহি, শাহিনুর রহমান শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।