আরিফ শেখ 2 January 2021 , 2:28:22 প্রিন্ট সংস্করণ
করোনার ক্লান্তিতে ঠাই নাই শিশুদের, শীতের প্রভাবের হাত থেকে রেহাই পায়নি নিম্ন আয়ের মানুষ সহ শিশুরা। যে সময় পার করত খেলাধুলা আর স্কুলের বাড়ান্দায়। আর সে সময়েই জীবনের গতি যেন হার মানিয়ে দিলো ফাতেমাকে। খেলার সাথিই তার জীবনের গতিপথ থমকে দিল। পুড়ে গিয়েছিল পুরো শরীরের এক তৃতীয়াংশ। ঠাঁই হয়েছিল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটে। আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেছে ফাতেমা।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর দৌলতপুর গ্রামের কিবরিয়া হোসেনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৫) । গত সোমবার দুপুরে একই এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান (৮)এর সাথে বাড়ির পাশে খেলছিল ফাতেমা।
জাহিদের দাদা আলেপ উদ্দিন বলেন, ঠিক দুপুর বেলা, মা জহুরা বেগমের সাথেই বাড়ির পাশে জাহিদ ও ফাতেমা খেলছিল। তখনেই হঠাৎ চিৎকার শুনে বাড়ির বাইরে দেখি ফাতেমার পুরো শরীরে আগুন।
রুবাইয়া আক্তার ও হাছিনুর রহমান সহ কয়েকজন বলেন, জাহিদ পলিথিনের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে হাতে ঘুরিয়ে খেলছিল। ঠিক ওই সময় ফাতেমার গায়ের জামা কাপড়ে আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ফাতেমাকে তারাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা খুব বেশামাল হওয়ায় রমেক হাসপাতালে নেন। কিন্তু চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটটে রেফার্ড করেন।
ফাতেমার বাবা কিবরিয়া মুঠোফোনে বলেন, আমার মেয়ের অবস্থা খুবেই আশংঙ্কা জনক ছিল। সে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটটের চতুর্থ তলা ১৬ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে। প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ের জীবনের এমন পরিস্থিতির জন্য জাহিদ সহ তার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জেনেছি,তবে খুবেই দুঃখ জনক। মেয়েটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে ।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এবিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।