গঙ্গাচড়া তিস্তা ভাঙ্গনে বিলীনের পথে পূর্ব ইচলি ঈদগাহ মাঠ ও ভাঙ্গন হুমকির মুখে মোনাজাত উদ্দিন আনন্দলোক বিদ্যালয় । সেই সাথে তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারনে গঙ্গাচড়ায় শেখ হাসিনা সেতুর মহিপুর -কাকিনা সংযোগ সড়কে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনসহ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। পানি বৃদ্ধির কারনে চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সদ্য রোপনকৃত আমন ক্ষেত।
জানা যায়,গত সোমবার থেকে তিস্তার পানি আবারো বৃদ্ধি পায়। গত ঈদের সময় শংকরদহ এলাকায় একটি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে বর্তমানে তিস্তার আরো দুটি চ্যানেল বের হয়েছে। যার একটি যাচ্ছে চর পূর্ব ইচলি হয়ে এস কে এস বাজার দিয়ে অন্যটি যাচ্ছে গঙ্গাচড়ার শেষ প্রান্ত সেরাজুল মাকের্টের সেতুর নিচ দিয়ে। সেই সেরাজুল মার্কেটর কাছে ইতিমধ্যে এলজিইডি নির্মিত মহিপুর -কাকিনা সংযোগ সড়কটির ১০ মিটার জুড়ে ব্লক ধ্বসে গেছে। তাছাড়া এসকেএস বাজারের কাছে দুই ইচলির ঈদগাহ মাঠ, জয়রামওঝা ঈদগাহ মাঠ ও কবর স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া পূর্ব ইচলি ,পশ্চিম ইচলি, বাগেরহাট, শংকরদহ ও জয়রামওঝা এলাকায় প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। লোকজন বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এস কে এস বাজারের পুর্বপাশে পূর্বইচলি এলাকার ঈদগাহ মাঠটির সামনের রাস্তার আর ২/৩ ফুট ভাঙ্গলে ভাঙ্গন এসে ঠেকবে ঈদগাহ মাঠে। সেই সাথে বেসরকারি সংস্থা জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চর পূর্ব ইচলি এলাকার মোনাজাত উদ্দিন আনন্দলোক বিদ্যালয়টিও ভাঙ্গন হুমকির মুখে।
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন , পূর্ব ইচলি ঈদগাহ মাঠটি ভাঙ্গনের মুখে । এছাড়া মোনাজাত উদ্দিন আনন্দলোক বিদ্যালয়টিও ভাঙ্গন হুমকির মুখে এবং শেখ হাসিনা সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙ্গনের কথাও স্বীকার করে বলেন, গত ২দিন ধরে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে আবারো বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেইসাথে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২ হাজার পরিবার।
তিনি আরো বলেন গত মাসে এস কে এস বাজারের কাছে সড়কের ৬০ ফুট অংশ ধ্বসে গিয়েছিল। সে যাত্রায় বালির বস্তা ডাম্পিং করায় ভাঙ্গন কিছুটা রোধ হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী এজেডএম আহসান উল্লাহ বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে কিছু বালির বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া বলেন, যেহেতু রাস্তায় ভাঙ্গন সেহেতু আমাদের ওখানে করনীয় কিছুনেই। এ কাজ এলজিইডি করবে।