সারাদেশ

গঙ্গাচড়া মহিলা মার্কেট একযুগ ধরে পুরুষের দখলে 

  আব্দুর রহিম (পায়েল) , গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি 2 September 2020 , 10:01:34 প্রিন্ট সংস্করণ

গঙ্গাচড়া মহিলা মার্কেট একযুগ ধরে পুরুষের দখলে 

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পৃক্ত করতে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত তিনটি মার্কেট যেন নামেই মহিলা মার্কেট। নারী ব্যবসায়ী না থাকার অজুহাতে তাদের নামে বরাদ্দ নিয়ে এক যুগ ধরে ব্যবসা করছেন পুরুষরাই।

উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজার, বেতগাড়ী হাট ও মন্থনা বাজারে সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ করা হয় তিনটি মহিলা মার্কেট। মার্কেটগুলো নির্মাণের পর থেকেই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত হাট কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবিক অর্থে তদারকি না থাকায় মার্কেটের প্রায় সব দোকানই পুরুষের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের নারী স্বজনের নামে দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করছেন। আবার অনেকেই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। যদিও বলা হয়েছে, মহিলা মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহীদ পরিবারের সদস্য, ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারী, বিধবা কিংবা স্বামী পরিত্যক্তা, পরিবারপ্রধান নারী, যিনি ব্যবসা করতে আগ্রহী, অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল এমন নারীদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তার চিত্র একে বারেই ভিন্ন। উপজেলার গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের গঙ্গাচড়া বাজারে ১২টি বেতগাড়ী বাজারে ১২টি মন্থনা বাজারে ১২টি কক্ষের মহিলা মার্কেট নির্মাণ করা হয়। মার্কেটের রহিমা নামে এক বিধবা মহিলার সঙ্গে কথা বলে জানতে পাড়া যায়, তিনি অসুস্থ থাকার কারনে তার নামে বরাদ্দকৃত কক্ষটিতে তিনি তার ছোট ভাইয়ের এর দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন । গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল সুমন আব্দুল্লাহ বলেন সব কক্ষের ভাড়া উপজেলা নিবাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমি সদরের চেয়ারম্যান থাকার আগে এগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কক্ষ গুলো বরাদ্দের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না । সহকারী কমিশনার (ভূমি) গঙ্গাচড়া অফিসে সব তথ্য আছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি দোকানের প্রতি বর্গফুট হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে। প্রাপ্ত ভাড়ার শতকরা ৫ ভাগ সরকারকে ভূমি রাজস্ব খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে দিতে হবে। ভাড়ার ১৫ ভাগ মার্কেটের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হবে। বাকি ৮০ ভাগ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌর পরিষদের তহবিলে জমা হবে। কোনোভাবেই বরাদ্দ পাওয়া দোকান অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। এ প্রসঙ্গে মোঃ শরিফুল আলম সহকারী কমিশনার (ভূমি) গঙ্গাচড়া বলেন, আমি গঙ্গাচড়া ভূমি অফিসে আসার এক মাস হয়েছি এব্যাপারে আমি বেশি কিছু জানি না তবে কিছু দিন আগে আমার কাছে কিছু লিখিত অভিযোগ এসেছে তবে কক্ষ গুলোর ভাড়া বাকি থাকায় অইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেরি হচ্ছে, ভাড়া আদায় হলেই, তদন্ত করে অইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।