মোস্তাক আহমেদ কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ 24 August 2020 , 12:22:08 প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুুরের কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি লকডাউনের টানা ৬৬ দিন
বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ২/৪টি ট্রেন চলাচল করলেও স্টেশনের সাথে জরিত
জীবন ও জীবিকা নির্ভর প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। অপর
দিকে ট্রেন চলাচল না থাকার কারনে সুযোগ বুঝে হরহাশোই চলাচল করছে
গরু-ছাগল। দেখে শুনে মনে হয় প্লাটফর্মটির দখলে নিয়েছে গরু-ছাগল।
সরেজমিনে কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনে গিয়ে দেখা গেছে, গত মার্চ মাসের ২৫
তারিখ থেকে ট্রেন চলাচলা বন্ধ করে দেয় রেল বিভাগ। এক সময়ে স্টেশনটিতে
কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রেনযাত্রী, দোকানদার, হকার, কুলিদের কলকাকলীতে
মুখরিত থাকতো, যেই স্টেশনটি এখন শুনশান নিরবতা, নেই কোন শব্দ, নেই
মানুষের আনাগোনা।
শহীদ মোফাজ্জল হোসেন অভারব্রীজটি যেন চেয়ে আছে কথন ট্রেন আসবে। এই স্টেশনটিতে ১০টি আন্তঃ নগর ট্রেনসহ ২৮টি ট্রেন চলাচল করতো। প্রতিদিন রেল বিভাগের কমপক্ষে আয় হতো ৫০ হাজার টাকা।স্টেশন
কে ঘিরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো বে-সরকারী ট্রেনের ১০জন, ১২জন
কুলি, পাঁচটি চা দোকানের ও ১টি ক্যান্টিনের ২০ জন কর্মচারী, ২টি পান দোকানের ৪ জন কর্মচারী, ১টি বুক স্টেলের ২জন কর্মচারীসহ যাত্রী পরিবহনের সাথে জরিত প্রায় শতাধিক রিক্সা ও ব্যাটারী চালিত অটো চালক।
সেই সাথে স্টেশনের নিচে রেল বাজারের শতাধিক দোকানদার। করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ২/৪টি ট্রেন চললেও যাত্রী
নেই, নেই মালামাল পরিবহন।
ফলে স্টেশনের সাথে জীবন ও জীবিকা
নির্বাহকারীরা পরেছে চরম বিপাকে। হকার আমিনুল জানায় স্টেশনে ট্রেন ও
যাত্রী না থাকায় প্লাটফর্ম এখন গরু-ছাগলের দখলে।
কাউনিয়া স্টেশনের পার্শে বাড়ি শ্যামল কুমার শিং সামুয়া জানান, জমজমাট রেল স্টেশনটি এখন জনমানব শুন্য হয়ে পড়েছে। স্টেশন মাষ্টার আঃ রশিদ জানান, ট্রেন সীমিত আকারে চলাচল ও যাত্রী কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন রেলের প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে স্টেশনের সাথে জীবিকা নির্বাহকারী অনেকে বেকার হয়ে পড়েছ।