বঙ্গ ডেস্ক 25 July 2020 , 12:13:45 প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের আরো একটি জনপদ গো-ঘাট গ্রাম । আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে গ্রামের প্রাচীন দুর্গা মন্দিরটিও।
গত কয়েক দিনের ভাঙনে গ্রামটির প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে স্লুইস গেট, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বন্দর, কামারজানি মার্চেন্ট হাইস্কুলসহ অন্তত পাঁচশ পরিবারের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের ফলে গো-ঘাট গ্রামের সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরটি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের তীব্রতা এত বেশী যে, মন্দিরটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ারও সময় পাওয়া যায়নি। চলমান ভাঙনরোধে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড শুক্রবার পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানায়, গো-ঘাট গ্রামে প্রায় দেড় সহস্রাধিক পরিবারের বসবাস ছিল। চার বছর আগে ২০১৬ সালে গ্রামটি ভাঙনের কবলে পড়ে। এর আগে এ গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের বসত বাড়ি, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনাও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শত শত একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে।
এবারের ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গরু-ছাগল নিয়ে বসবাসের জন্য একটু ঠাঁই খুঁজতে তারা এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। নদীপাড়ে মানুষের আহাজারিতে বাতাস যেন ভারি হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ছে গ্রামগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান জানান, সদর উপজেলার কামারজানির গো-ঘাট গ্রাম নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। ভাঙন রোধে পাউবো প্রতিরক্ষামুলক কাজ করলেও তাতে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। শুকনো মৌসুমে কাজ শুরু করা হবে। এই এলাকার ভাঙন ঠেকাতে চলতি মাসের ২১ তারিখে একনেকে ৪০১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার মানুষ ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।