বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ভোর চার টার দিকে উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের সোনাখুলি ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম থেকে গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দুপুরের জেলা মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওই গৃহবধুর স্বামী আল আমীন (২৬), শ্বশুর জহুরুল মিয়া (৬০) এবং শাশুড়ি অসনা বেগম (৫৮)।
তাদেরকে আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল।
নিহত ওমেনা খাতুনের বাবা আয়নাল হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রাত ১১ টার দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই। এসে জামাই আল আমীন ও তার মা অশনা বেগমকে বাড়িতে না পেয়ে আমার সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিয়ের সময় যৌতুকের দাবির ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। পরবর্তীতে আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময়ে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে আমার মেয়ের ওপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। বুধবারও তারা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার খবর প্রচার করে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১৬ মাস আগে ইউনিয়নের সোনাখুলি ডাঙ্গপাড়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের মেয়ে ওমেনা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে আল আমীনের বিয়ে হয়। গত ২৬ দিন আগে আদের এক ছেলে সন্তানের জম্ম হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওমেনার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গৃহবধু ওমেনা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃবধুর বাবা আয়নাল হোসেন বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করায় গৃহবধুর স্বামী, শ্বশুড় এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।