রংপুর

তারাগঞ্জে চাঁদা দিয়েই চলছে অবৈধ যান

  তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: 6 February 2021 , 5:46:02 প্রিন্ট সংস্করণ

লাইসেন্স বিহীন অবৈধ থ্রিহুলারের কারণে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সাধারন মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই মহাসড়ক সহ দাপটে চলছে এ অবৈধ যান বাহন। থ্রিহুইলার সহ বৈদ্যুতিক মোটরচালিত অবৈধ অটোরিকশাগুলো যত্রতত্র পার্কিং ও শিশুসহ অদক্ষ চালক দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। আর এসব থ্রিহুইলার সহ অবৈধ যানবাহন চাঁদা দিয়েই চলছে প্রতিনিয়ত।
অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ছোট পর্যটন শহর তারাগঞ্জ। থ্রিহুইলার সহ অটোরিকশার অব্যবস্থাপনা যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে সচেতন নাগরিকরা। ফলে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে ট্রাফিক বিভাগও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারাগঞ্জ বাজারে প্রতিনিয়ত প্রায় ৪ থেকে ৫শ অটোরিকশা ও প্রায় ৭০টি সিএনজি চলাচল করে থাকে বিভিন্ন রুটে। নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। অতিরিক্ত মাত্রায় অবৈধ অটোরিকশা বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব যানবাহনের যত্রতত্র পার্কিং ও চালকদের বেপরোয়া গতি ও শৃঙ্খলায় কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ট্রাফিক বিভাগও।
উপজেলার বিভিন্ন রুটে তারাগঞ্জ শহরের আশেপাশে ১৫ জন চেন মাষ্টার দিয়ে দৈনিক ১০-২০ টাকা গাড়ি প্রতি চাঁদা নেয়া হয়। এছাড়াও মাসিক গাড়ি প্রতি অটো ১শত টাকা এবং সিএনজি ২শত টাকা করে নেয়া হয়। খায়রুল নামের ড্রাইভার জানান, দৈনিক ও মাসিক চাঁদা ছাড়াও রোড পারমিটের জন্য অটো- ১ হাজার টাকা সিএনজি ১০হাজার টাকা দিতে হয় প্রশাসন সহ শ্রমিক অফিসে।


সচেতন মানুষের মতে, তারাগঞ্জ উপজেলায় নির্দিষ্ট টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা , যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ, সীমিত গতি, সুদক্ষ চালক ও বয়সের সীমাবদ্ধতা না করে উল্টো চাঁদা দিয়েই তার বৈধতা দিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে সঠিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা ।

প্রতি সোমবার ও শুক্রবার তারাগঞ্জ শহরে সাপ্তাহিক হাটের দিন। উপজেলা শহরের আশপাশের এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের অটোরিকশা চলাচল ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে পরিচালনায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অন্যান্য পরিবহনের পথচারী ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মমুখী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত।
থ্রিহুইলার সহ অটোরিকশার বেশিরভাগ চালক অপ্রশিক্ষিত হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করছেন পথচারী, চালক ও শিশুরা। বৈদ্যুতিকভাবে চার্জ করার ফলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ ঘাটতি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ নিত্য নতুন নয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়াও অলিগলিও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দখলে। এদিকে ওই যানবহনে অবৈধ এলইডি লাইট, নিষিদ্ধ ঘোষিত উচ্চমাত্রায় হাইড্রোলিক হর্নের কারণে পরিবেশ নষ্টসহ সাধারণ মানুষের নানাবিদ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে সচেতন মহল জানিয়েছেন।
রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন তারাগঞ্জ উপ- কমিটিরি সভাপতি রেজাউল করিম টিপু বলেন, থ্রিহুইলার অটো সিএনজির চেন অসহায়দের মধ্যে দেয়া হয়। তারাই সেটাকা তুলে নিজেদের সংসার চালান। অটোর চেন সহ মাসিক চাঁদার সকল হিসেব ও অনিয়ম সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মিলন করেন, আমি শুধু কলার গাছ।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কেরামত আলী বলেন, আইনের আওতায় যে কোনো বিষয় সুশৃঙ্খল এটাই বাস্তবতা। তাই লাইসেন্স ও নিয়মে চলাচলের মাধ্যমে বেপরোয়া ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব এবং নাগরিক সচেতন হলে তারাগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তিনি আরও জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।