আবু বক্কর সিদ্দিক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ 17 September 2020 , 7:31:39 প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ রূপ বৈচিত্রের দেশ। যার এশটি নিদর্শন হলো মৃৎশিল্প। এদেশের মৃৎশিল্পের এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। যারা এই শিল্প
কর্মের সঙ্গে জরিততাদের বলা হয় কুমার। কুমাররা অসম্ভব শৈল্পিক দক্ষতা ও মনেরমধ্যে লুকায়িত মাধুর্য দিয়ে চোখ ধাঁধানো সব কাজকরে থাকেন। এই শিল্পটি হল বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও অন্যতম একটি শিল্প যাদেশের ঐতিহ্য বহন করে।
কালের বিবর্তনে, শিল্পায়নের যুগে ধীওে ধীওে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই মৃৎ শিল্প। বাজাওে যথেষ্ট চাহিদা না থাকা, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতি, কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত মাটির মূল্য বৃদ্ধি, কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রী পরিবহনে সমস্যা নানা কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
বাংলার বহু বছরের এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক, স্টিল, ম্যালামাইন,
সিরামিক ও সিলভার সহ বিভিন্ন ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা এসব তৈজসপত্রের নানাবিধ সুবিধার কারণে দিনদিন আবেদন হারাচ্ছে মাটির তৈরি শিল্পকর্ম।ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্পের কদও কমছে ঠাকুরগাঁওয়েও।
নানা কারণে বিলুপ্তের পথে এ শিল্প। তারমধ্যে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। মৃৎশিল্পীরা এখন জীবন বাঁচাতে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। জেলা শহর থেকে অদূরে আক্চা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি পরিবার মাটির জিনিস তৈরির কাজ করতেন।
ফুলের টব,পাতিল,পুতুল,ব্যাংক,কলস, কড়াই, দইয়ের বাটিসহ বিভিন্ন ধরণের মাটির জিনিস পত্রে ফুটে ওঠে কারিগরের হাতের অপরূপ কারুকার্য। আর এসব নিয়েহাট-বাজার,বিভিন্ন পূজা-পাবন, মেলায় নিয়ে বিক্রয় করতেন।
বিগতদিন গুলিতে মাটির তৈরী
পুতুল, ব্যাংক,কলস সহ মাটির তৈলী নানা জিনিস পত্র নাহলে আধুরায় থেকে যেতো গ্রাম্য মেলা।
পালপাড়ার পল্লাত,দিল্লিপ,হেমতা,সাবিত্রি সহ অনেকেই জানান,মৃতশিল্প তৈরীর কাঁচা মালের দাম বাড়তি হওয়ায় কারিগররা মাটির
জিনিস তৈরি কওে আশানুরূপ লাভ ওকরতে পারছেনা। তাই জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকে পরিবর্তন করছে পূর্ব পুরুষের
ঐতিহ্যবাহী এই পেশা।
মৃৎশিল্পীরা আরো জানান, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বর্তমানে এই এলাকায় মাত্র ৭-৮ টি পরিবার যুক্ত আছে এই পেশায়।
এখনো মাটির তৈলী জিনিস-পত্রের চাহিদা কিছুটা থাকলেও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে হাট-বাজার গুলিতে গ্রাহক কমে গেছে। তাই বিক্রিয়ও কম। বিক্রয় কম হওয়ায় ঠিক মতো ভরন-পোষণ দিতে পারছেনা কর্মীদের। এতে এক দিকে কারিগরেরা সংকটে পড়ছে পরিবার নিয়ে অন্যদিকে দেশ হারাতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য।
তাই মৃৎশিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি উদ্যোগের দাবি সংশ্লিষ্টদের।
মৃৎশিল্প বাঁচাতে এবং এর সাথে সংযুক্ত কয়েটি পরিবারের জীবিকা রক্ষায় এগিয়ে আসবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা মৃতশিল্পীদের।