সারাদেশ

ঠাকুরগাঁও রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  আবু বক্কর সিদ্দিক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি 15 September 2020 , 5:44:01 প্রিন্ট সংস্করণ

ঠাকুরগাঁও রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের আশেপাশের ২শ ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

গত সোমবার দিন ব্যাপীস ঠাকুরগঁাও রেল ষ্টেশনের আশেপাশে তথা ঠাকুরগঁাও রোড, ফকিরপাড়া, কলাবাগান এসব এলাকার রেলওয়ের যায়গায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওাা ৩৫ এশর জমির ৫শ দোকান ও এক হাজার বসত তালিকা ভূক্তের ২শ ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাহয়।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুলহাসান সোহাগ,রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকতার্ পুর্ণেন্দ দেব,সহকারি ভূ-সম্পত্তি কর্মকতার্ গোলাম মোস্তফা,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম,দিনাজপুর রেলওয়ের সিআরপি থানার ওসি গোলজার হোসেন প্রমূখ।

রেলওয়ের বিভাগীয় স্টেট অফিসার পূর্ণেন্দু দেব জানান, ঠাকুরগঁাও রেল স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণদিকে দু’পাশদিয়ে রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখলকরে স্থায়ী ভাবে গড়ে তোলা বিভিন্ন দোকান, মার্কেট, বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যতদিননা রেলওয়ের সব জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করাহবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্ত ভোগীরা কেউ ভ্যানে, কেউ পিক-আপভ্যানে কেউ বামাথায় কওে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অপসারণ করছেন।

গৃহহারা ভুক্ত ভোগীরা অশ্রুসিক্ত চোখেজানান, এসব জিনিস পত্র আমরা কোথায় নিয়ে যাবো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা নেই আমাদের। ঘর থেকে বেরকরে কোনমতো টেনেহিচওে পাশের মাঠে রাখছি এসব জিনিসপত্র।বেশ কিছু আসবাবপত্র আবার ভেঙ্গেও গেছে অনেকের। যাদের পার্শ্ববতর্ী এলাকা গুলোতে আত্নীয় স্বজন আছে তারা তাদের বাসায় নিচ্ছে।কিন্তু স্থায়ীভাবে কোন ঠিকানা আমাদের জানা নেই। প্রায় আড়াইশরও বেশি পরিবারের ঠিকানা এখন শুধুই খোলা আকাশ।আমরা দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর ধওে বসবাস কওে আসছি।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, আমরা চাই রেলসহ গোটা দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু করোনাকালে এখন আমরা কোথায় যাবো ? এ কয়েকদিন অনেক বাসাভাড়াও খুঁজেছি। অনেকের দ্বাওে দ্বাওে গিয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে বাসা ভাড়া পাওয়া খুবই কঠিন।সরকার যদি আমাদের মাথা গোজার মতো একটা ত্রিপলের ব্যাবস্থা করেও এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করতোতা হলেও হতো। আমাদের কথা কি কেউ ভাবে ?সাময়িক একটা কিছুর ব্যবস্থা চাইলেই করতে পারতো স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও নেতারা। আমরা কিন্তু এ দেশেরই নাগরিক। এই সমাজেরেই মানুষ।

ঠাকুরগঁাও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমবলেন, ঠাকুরগঁাওয়ে রেলওয়ের অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল কওে বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে বলে পাকশী থেকে জানানো হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে আমরা তাদেওকে সহযোগিতা করেছি। সরকারি জমি যেই দখল করুকনা কেন তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে। আমরা তাই করছি।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।