বঙ্গ ডেস্ক 26 August 2020 , 2:32:44 প্রিন্ট সংস্করণ
নভেল করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট জালিয়াতির বহুল আলোচিত মামলায় গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর আরও একটি প্রতারণার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাবরিনা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামের জায়গায় পৃথক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। দুটি এনআইডিতেই বয়সের পার্থক্য দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তার দুটি এনআইডিই সক্রিয়।
বিষয়টি দুদকের নজরে আসার পর বিস্তারিত জানতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তথ্য দিয়েছে দুদদ। ইসি এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে ৬ মাস কারাদণ্ড, অনধিক ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
জানা গেছে, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক ৫ বছর। একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন, অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।
এছাড়াও দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানা ব্যবহার করেছেন তিনি। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা, অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভুয়া করোনার রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)। আর ২০ আগস্ট সাবরিনা ও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তারা এখন কারাগারে আছেন।