সারাদেশ

তারাগঞ্জে আলমপুর ইউপি’র ব্যাসিন তৈরী সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

  তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ 30 September 2020 , 12:14:37 প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় আলমপুর ইউনিয়নে করোনা কালিন হাত ধোঁয়ার ব্যাসিন তৈরীসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদে নভেল করোনা ভাইরাস উপলক্ষে ইএএলজি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ এবং পুরাতন প্রাচীরের ইট দিয়ে হাত ধোঁয়ার বেসিন তৈরী করার কাজে অনিয়ম করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোয়াটারে বসবাস করা আনোয়ার হোসেন বলেন, মুই ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় থাকি আইজ পর্যন্ত পরিব্যার নিয়া ওই কোয়াটারোত বসবাস করি আচুং। কয়দিনের ঝড়োত রুস্তম আলীর বাঁশঝাড়ে পরিষদের প্রাচীর ভাঙ্গী গেইছে। ওই প্রাচীরের ভাঙ্গী যাওয়া ইট মুই নেজে ভারত করি আনি দিচুং। সেই ইট দিয়া পরিষদের সবায় মিলি সচিবসহ ডেসিন বানাইচে।
আশেক আলী অভিযোগ করে বলেন, আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ এখন অভিভাবকহীন। মাতৃভাতা থেকে শুরু করে ভিজিএফ পর্যন্ত হরিলুট করছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সকলে মিলে।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পরিকল্পনা করে বসতবাড়ীর কর, ইট ভাটার কর, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, করোনা কালীন বিশেষ বরাদ্দসহ গরিব অসহায় দুস্থদের সুবিধা দেওয়ার নামে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন সচিবসহ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান দুলাল বলেন, পুরাতন প্রাচীর আগেই ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানকার কিছু ইট ওই বেসিনে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট মাপের চেয়ে বেসিনটি বড় করায় এমনটা হয়েছে। প্রাচীর ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা চাইলে ওই প্রাচীর পরিষদের ফান্ড থেকে পুনরায় নির্মাণ করবো।
আলমপুর ইউপি সচিব আশরাফুল ইসলাম বলেন, রংপুর জেলার ৭৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ইএএলজি প্রকল্পের বরাদ্দে ৩০ টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা হাত ধোঁয়ার বেসিন তৈরী করেন। তার মধ্যে তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত অর্থে সংকুলান হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন প্রাচীরের কিছু ইট ওই বেসিনে ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো কাজে উৎসাহিত না করে একটি কুচক্রি মহল আমার ওই বেসিন তৈরীতে অপপ্রচার করছে।
আলমপুর প্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমি ইউপি সদস্য হতে প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছি। আগে বেসিন তৈরী করার কথা সচিব আমাকে জানায়নি। সচিব আশরাফুল ইসলাম ইএএলজি’র টাকা ও পরিষদের পুরাতন প্রাচীরের ইট ব্যবহার করে নিজেই বেসিন তৈরী করেছেন। সচিব ওই বরাদ্দকৃত অর্থ বেসিন তৈরীতে কিভাবে খরচ করেছেন তিনি ভালো বলতে পারবেন।

আরও খবর

Sponsered content