সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ 1 February 2021 , 1:18:00 প্রিন্ট সংস্করণ
কনকনে শীত হিমেল হাওয়া ও ঠান্ডায় থমকে দাঁড়িয়েছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম, বিপাকে পড়েছে ঘেটে খাওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ঘরের লোকজন। এই ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পেরে কষ্টে পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
তীব্র শীত নিবারনের জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামের বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের। প্রতিবছর শীতের শুরুতেই কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও এবছর তেমন একটি শীতবস্ত্র বিতরণের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রচন্ড হাড়কাপানো ঠান্ডায় দরিদ্র মানুষ কোন কাজের জন্য ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারছে না।
গত কয়েকদিন ধরে শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পুরনো কাপড়ের দোকান গুলোতে বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড়। গত দুই দিন ধরে সারাদেশের ন্যায় তারাগঞ্জ উপজেলায় কনকনে শীত ও ঠান্ডা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশার কারণে শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগবালাই ক্রমে বেড়েই চলছে। এমনকি অধিক কুয়াশার কারণে জমির বীজ ধান পুড়ে যাচ্ছে।
প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে সন্ধার পরপরই রাস্তা ঘাট ও হাট বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। এবং সেই সাথে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছে না। অধিক শীতের কারণে ঠান্ডা-জ্বর, সর্দি-কাশি, হাঁপানি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামসুন্নাহার জানান, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।