রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে স্তিমিত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। উপজেলায় ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা লোডশেডিং হচ্ছে নিয়মিত। এতে উপজেলার অফিস আদালত, মিল কারখানা, কৃষি, শিক্ষা ও গৃহস্থালীর যাবতীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কিছু দিন যাবৎ নিয়মিত লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলার রাইছ মিল, করাত মিল, কৃষি কাজের সেচ পাম্প, বেকারি ও শতশত অটোরিকশাসহ ভ্যানচালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও গৃহস্থ পরিবারগুলোর ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎহীনতায় উপজেলার অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মাদ্রাসার কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। উপজেলায় সারাদিনে সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। আর প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ফলে জনসাধারণের সন্ধ্যাকালীন কাজকর্ম ও স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ ঘটছে। আবার ভোর রাত থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত চলে টানা লোডশেডিং। এতে কৃষি শিল্প ও ব্যবসায়ীক কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে।
সয়ার বুড়ীরহাট বাজারের ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংসসহ ফলমূল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাপসা গরমে ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে রোজা রেখে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমত পড়ালেখা এমনকি ভ্যাপসা গরমের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে রাতে ঘুমানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
তারাগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের ডিজিএম আশরাফুল হকের কাছে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঢাকা কন্ট্রোল রুম থেকে মেইন লাইন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।