সারাদেশ

ফার্মেসিতে মিলছে নেশার ট্যাবলেট নজরদারীর অভাব

  সিরাজুল ইসলাম বিজয়ঃ 22 August 2020 , 12:24:44 প্রিন্ট সংস্করণ

ফার্মেসিতে মিলছে নেশার ট্যাবলেট নজরদারীর অভাব

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট। এবার নেশার রুপ বদল করেছে মাদক সেবীরা।

হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাজা নয় এবার ঝুকি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে নেশার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট বিভিন্ন ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে। ফলে অভিভাবকরা তাদের সন্তান নিয়ে চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

এর মধ্যে ইনসেপ্টার সেনট্রডল, হেলথ কেয়ারের সিনটা, এসিআইয়ের লোপেন্ডা, স্কয়ারের পেনটাডল, অপসেনিনের টাপেনডল, এসকেএফের টাপেন্ড, বেক্সিমকোর ট্রাপডাসহ বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে ফার্মেসী গুলোতে। এ ওষুধ ফার্মেসির মালিকরা রাজা, রানী, লাড্ডু প্যাকেজ করে ১০০, ৫০ ও ২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এক সময় গাজা, ফেন্সিডিল, হিরোইন ও সর্বশেষ ইয়াবা সেবনের প্রবণতা বেড়ে যায়। ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম পর্যন্ত। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করায় ব্যবহারের প্রবণতা কমে যায়।

পরে মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীরা শহরের স্থান বদল করে গ্রামে ছুটতে থাকে। সেখানেও পুলিশের কঠোর নজরদারীতে তারা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়।

এদিকে শিশু- কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়েছে ড্যান্ডি গাম ও সাম্পান নামের সর্বনাশা নেশায়। শিশু কিশোরদের অনেককে সকাল থেকে রাত অবধি বাজারের বিভিন্ন জায়গায় দাড়িয়ে বা হাটা অবস্থায় এই নেশা করতে দেখা যায়।

পাশাপাশি সাম্পান নামক মাদক দ্রব্য তৈরী করতে বাজারের নামি দামী ওষুধের দোকান থেকে কাশির শিরাপের সাথে মেশানো হয় গ্যাসের ট্যাবলেট,ঘুমের ট্যাবলেট,ব্যাথা নাশক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ।

এ সহজ লভ্য নেশার সাথে জড়িয়ে পড়েছে  বিভিন্ন বয়সী মানুষ। হতদরিদ্র হওয়ায় সচেতন মানুষ এদের দিকে তাকাচ্ছে না। ফলে নেশা আসক্তি থেকে শুরু করে এরা আবার জড়িয়ে পড়েছে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো নানা অপকর্ম ও অসামাজিক কার্যকলাপে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ড্যান্ডি এক ধরনের নেশা। তীব্র গন্ধ না থাকায় শিশু কিশোররা এ নেশা যে করছে তা কেউ ধরতে পারেন না। অল্প খরচে এই নেশা করা যায় বলে পথ শিশু-কিশোররা ঝুঁকে পড়ছে এতে।

এক জনের কাছ থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে অন্য জনের কাছে। নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের মধ্যে সাধারণ এ আসক্তি দেখা যাচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ওষুধ ফার্মেসি গুলোতে সবচেয়ে বেশি এসকল নেশা জাতীয় ট্যাবলেট প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে।

এসব ওষুধ খেলে নাকি অন্য নেশা ধরে না। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছেন না কোনো ফার্মেসির মালিক ও কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা জানান, এসব ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত সেবন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবুও এসব খেয়ে নেশা করছে বখাটে মাদকসেবীরা। এতে করে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা সন্তানদের নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছি। কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েরাই মানসিকতার কারনে দায় বেশি।

ওসি জিন্নাত আলী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কারিগর ও তরুনদের রক্ষা সহ নানা অপকর্ম রুখতে বিট পুলিশিং সহ নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।