সারাদেশ

তারাগঞ্জে নদীর স্রোতে রাস্তা ভেঙে দুর্গতি পথচারীর ভোগান্তি

  তারাগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধিঃ 5 October 2020 , 9:27:30 প্রিন্ট সংস্করণ

দুর্ভোগে পড়েছে ১৩টি গ্রামের ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর সেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে। এমনই ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের চকতাহীরা থেকে চিকলীর বাজার পর্যন্ত।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের চকতাহীরা বাঁশঝাড় থেকে চিকলীর বাজার পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি আলমপুর ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের সঙ্গে তারাগঞ্জ সদরের সংযোগ সড়ক। বর্ষায় রাস্তাটির ২০০ মিটার অংশের চার ভাগের তিন ভাগ নেংটিছেড়া খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে গ্রামের সাধারণ মানুষের। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল সহজে বাজারজাত করতে পারছেন না।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চার কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি দিয়ে চকতাহীরা, ভীমপুর, দরজিপাড়া, চাকলা, খিয়ারপাড়া, সেনপাড়া, পাইকপাড়া, কবজিপাড়া, চিকলী, শাওনাপাড়া, ধোলাইঘাট, তেতুলতোলা, বালাপাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, ট্রলি ও মাইক্রোবাসে করে যাতায়াত করত। কিন্তু গত ২২ জুলাই তীব্র পানির স্রোতে চকতাহীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০০ গজ পূর্ব দিকের চাকলা গ্রামের কাছে ২০০ মিটার রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ নেংটিছেড়া খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এসব গ্রামের ১৫ হাজারের বেশি মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করছে। রাস্তা একেবারে সরু হওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চকতাহীরা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, ২০০ মিটার ভাঙা রাস্তার কারণে কৃষকেরা তিন কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে ফসল বাজারজাত করছেন। এতে তাঁদের কষ্ট ও ব্যয় উভয় বেড়ে গেছে।

দরজিপাড়া গ্রামের কৃষক আমিজ উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘রাস্তা কোনা ভাঙি যেয়্যা হামার হইছে দুর্গতি। ধান, পাট, সবজি শহরত নিয়া বিক্রি কইরবার পারছি না। খেতোতে কম দামে পাইকারোক দিবার নাগোছে।’ শাওনাপাড়া গ্রামের দিনমজুর শুকুমার রায় বলেন, ‘সড়ক কোনা ঠিক কইরার জন্য উপজেলার চেয়ারম্যানোক কছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতও তিন দিন গেছি। উপজেলাতেও আবেদন দিছি। কিন্তু তা–ও কায়ও সড়ক কোনা হামার ঠিক করি দেওছে না।’

কাঁচা রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে জানিয়ে আলমপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

রাস্তার ভেঙে যাওয়া অংশ সরেজমিনে দেখেছেন উল্লেখ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল মমিন বলেন, বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।