সারাদেশ

তারাগঞ্জে রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

  সিরাজুল ইসলাম বিজয় 14 October 2020 , 9:50:38 প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের পাকা রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসারের বিরুদ্ধে। প্রায় এক কিলোমিটার নির্মিত এ রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের ইট ও কিছু কিছু জায়গায় বালুর পরিবর্তে মাটি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসারের সাথে যোগসাজসে এসব করছে ঠিকাদার। অবিলম্বে রাস্তায় নিম্ন মানের ইট অপসারণ করে উন্নতমানের ইট দিয়ে নতুন করে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের সুশীল হাউজ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ঘনিরামপুর ডাঙ্গাপাড়া নূরানী হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণে নিম্ন মানের ইটের খোঁয়া ব্যবহার করে মেসার্স রবিউল ইসলাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তা নির্মাণে নিম্ন মানের ইট ও খোঁয়া ব্যবহার না করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বিপুল মিয়াকে একাধিকবার মৌখিকভাবে বাঁধা দেয় এলাকাবাসী।

কিন্তু ঠিকাদার রবিউল তাতে কোনো সাড়া না দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ প্রায় ১ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ পায় মেসার্স রবিউল ইসলাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তাটির দৈর্ঘ ১৩৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার।
পলাশবাড়ী গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা কোনা পাকা করোচে কোন মতে। হামাক বুঝ দেওয়ার জন্যে নিচোৎ বড় বড় ইট উপরোত ছোট ইটের খোঁয়া দেওচে। কয়ো দ্যাখে না, নেম্ন  মানের কাম করোচে। মুই বাদা দিচনুং, মোক ধমক দিয়া থামে থুইচে ঠিকাদারের লোক। কইচে যেমন করি রাস্তা বানামো সেইটাই আসল,আর কিচু করার থাকলে করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার বলেন, ওই রাস্তা নির্মাণের ব্যপারে অনিয়মের বিষয়টি জেনেছি। পরে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে জানিয়েছি, গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বিপুল মিয়া বলেন, এবারে আবহাওয়া ভালো না থাকায় লট হিসেবে ভাটার ইট কিনেছি। তাই কিছু অংশে নিম্ন মানের ইটের খোঁয়া ব্যবহার করা হয়েছিল পরে তা উত্তোলণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু জায়গায় বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আহম্মেদ হায়দার জামান বলেন, পলাশবাড়ি গ্রামের সুশীল হাউজ থেকে ঘনিরামপুর ডাঙ্গাপাড়া নূরানী হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি আমি জেনেছি। বর্তমানে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে,তবে রাস্তা নির্মাণে নিম্ন মানের খোঁয়া পরিবর্তন করে পুনরায় ভালো করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নেই, কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।