খলিলুর রহমান খলিল,তারাগঞ্জঃ 5 October 2020 , 4:04:26 প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কটি দীর্ঘ ১১ কিলোমিটার। ওই সড়ক দিয়ে তিন উপজেলার প্রতিদিন হাজারো মানুষ যানবাহনে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কটির তারাগঞ্জের এক কিলোমিটার অংশে রাস্তার ওপর হাট বসায় যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কৃষকদের অভিযোগ, হাটের মধ্যে তহ বাজারের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও কৃষকদের জন্য বরাদ্দ জায়গা পাইকারি ও খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা দখল করে ফেলেছেন।
এজন্য বাধ্য হয়ে তাঁরা নিজেদের ফসল বিক্রির জন্য সড়কে রাখেন।
তারাগঞ্জ বণিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আফান বলেন, কৃষকের জায়গা পাইকারেরা দখল করে রাখায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন । এ খবর বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। কিন্তু কেউ সমস্যা সমাধান হয়নি । উপায় না পেয়ে কৃষকেরা রাস্তায় ফসল বিক্রি করছেন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা।
কুর্শা জদ্দিপাড়া গ্রামের সাবু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবারাও এই হাটে ব্যবসা করে আসছেন। তবে এখন কেউ নিয়মনীতি মানে না, যে যার মত করে ব্যবসা করেন রাস্তা দখল করে। একাধিকবার অভিযোগ করেছি কোন কাজ হয়নি।
জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১৮টি হাট–বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট হচ্ছে তারাগঞ্জ। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার হাটটি বসে। এবার ২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় হাটটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাটে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় তাঁরা হাটের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ওপর তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রয়ের জন্য বসে। একারনে ওই দুই দিন সড়কের মধ্যে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাটের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশে ধান, সবজির বাজার বসিয়েছে। ক্রেতাদের ভিড়ে ওই এক কিলোমিটার রাস্তাও যেন হাটে পরিণত হয়েছে।
সবজি বিক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, ‘ভাইজান, সোবায় কয়, কৃষক বেলে দেশের প্রাণ। সেই প্রাণ রাস্তাত দাঁড়ে কষ্ট করি কম দামে ফসল বেচাওছে। প্রশাসনের লোক, জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা দিয়া যাওয়ার সময় দুঃখ–কষ্ট দেখি যাওছে। তা–ও হামাক ফসল বেচার জায়গা ব্যবস্থা করি দেওছে না। হাটোত জায়গা না থাকায় হামরা মেলাদিন থাকি সবজির বাজার রাস্তার দুই পাশে বসাই। জাগা পাইলে রাস্তাত দোকান দেনো না হয়।’
মুঠোফোনে হাটের ইজারাদার স্বপন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, এই সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। অল্প কয়দিনের মধ্যে কুশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ স্থায়ী পরিকল্পনা করা হবে। এতে করে সাধারণ জনগণ পথচারী যানজট মুক্ত হবে ও কৃষক ফিরে পাবে তাদের তহ বাজার ।