বঙ্গ ডেস্ক 15 August 2020 , 9:21:44 প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজে গাফিলতির কারণে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পারুল বেগমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, রাস্তার কাজে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য কালো বাজারে বিক্রি করে, অফিসে ভুয়া মাষ্টার রোল দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো ও সংস্কার (কাবিখা-খাদ্যশস্য) কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা পরিষদওয়ারী (২য় পর্যায়) এর বরাদ্দ থেকে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজার সংলগ্ন নুরু মিয়ার চাতাল হতে বড় দোলাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ৯.৭৯২ মে.টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।
প্রকল্প চেয়ারম্যান করা হয়, সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পারুল বেগমকে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কাজের বিনিময়ে খাদ্যশস্য অর্থাৎ গম দেয়ার কথা থাকলেও তিনি তা না দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নাম মাত্র মূল্যে চুক্তি দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজ করেছেন। রাস্তায় মাটি দিয়ে ভরাট করার মাধ্যমে সংস্কার করা কথা থাকলেও সঠিক ভাবে মাঠি ভরাট না করে গর্তের ভিতরে বড় বড় চাপা মাঠি দিয়ে ভরাট এবং কাজের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে কোথাও কোথাও রাস্তার খাস ছিলে দিয়ে সমান করার চেষ্টা করেছেন। ফলে এক থেকে দেড় মাস যেতে না যেতে পুরোনা সেই রাস্তা চেহারা ফিরে এসেছে। এছাড়াও তিনি কয়েক কিস্তিতে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করে, শ্রমিকদের খাদ্যশস্য প্রদান না করে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীদের কাছে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। এবং খাদ্যশস্য প্রদানের ভুয়া মাষ্টার রোল তৈরি করে তা প্রকল্প অফিসে দাখিল করেন। যা পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসীর দাবী।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পারুল বেগম বলেন, আমি এ প্রকল্পটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে দর কষাকষি করে কিনে নিয়েছি। রাস্তার কাজ করে তেমন একটা লাভ করতে পারিনি।
পারুল বেগমের স্বামী মুরাদ হোসেনও পারুল বেগমের কথা গুলো জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কত দিয়েছেন,কোথায় কত টাকা খরচ করেছেন,তার বর্ণনা দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি দিয়ে রাস্তার কাজ করিয়ে নিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজম কিরণ বলেন, প্রকল্প চেয়ারম্যান যেহেতু পারুল বেগম সেহেতু এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলেন।
এলাকাবাসীর দাবী বরাদ্দকৃত প্রকল্পটি (রাস্তাটি) সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।