বঙ্গ ডেস্ক 24 July 2020 , 8:27:26 প্রিন্ট সংস্করণ
নাগেশ্বরীতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সরকারী গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গায় ৩৫ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ৪০ হাজার ১৭৭ টাকা ৮৩৭ পয়সা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে রায়গঞ্জ ইন্সটিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি। ৫তলা ভিত্তি বিশিষ্ট চারতলা একাডেমিক ভবণ, ৫তলা ভিত্তি বিশিষ্ট চারতলা ছাত্রী নিবাস, ৬ষ্ঠতলা ভিত্তি বিশিষ্ট চারতলা ছাত্রাবাস, ৫তলা ভিত্তি বিশিষ্ট তিনতলা ১২৫০ বর্গফুট আবাসিক ভবণ, ৫তলা ভিত্তি বিশিষ্ট তিনতলা ৬০০ বর্গফুট আবাসিক ভবণ, ২তলা ভিত্তি বিশিষ্ট দুইতলা গ্যারেজ কাম ড্রাইভার আবাসিক ভবণ, একতলা বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন ভবণ, গার্ডরুমসহ সীমানা প্রাচীর, রাস্তা, ড্রেন, মাটি ভরাটসহ বহি: বিদ্যুত সংযোগ প্রদানের কাজ পায় ঢাকার মেসার্স মল্লিক এন্টারপ্রাইজ-মেসার্স অনিক ট্রেডিং করপোরেশন (জেডি)। এ বছরের ২৩ মে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো চলমান।
এরমধ্যে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ও তাদের নিজস্ব প্রকৌশলী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন অনুমতি না নিয়েই পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি পুরাতন মেহগিনি গাছ কেটে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে পরদিন ১৯ জুলাই এলাকাবাসীর পক্ষে উমা চরণ বর্মন এর সুষ্ট তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এরপরেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ওই ব্যাক্তিরা মুল গাছটি সরিয়ে ফেলে। ২২ জুলাই সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সেখানে পরে আছে গাছটির বড় বড় ডালের অবশিষ্ট কিছু অংশ।
অভিযোগকারী উমা বর্মণ বলেন বিষয়টি জানা জানি হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন গাছটির বেশিরভাগ অংশ সরিয়ে ফেলেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মুকুল ও প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন কাজের স্বার্থে গাছটি কাটা হয়েছে। আরো বেশকিছু গাছ কাটা পড়বে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিত অনুমতি ছাড়া সরকারী গাছ কাটা আইন সঙ্গত কিনা জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু বকর সিদ্দিক শুক্রবার জানান, সরেজমিন তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপজেলা বন বিভাগকে একটি পত্র দিয়েছেন।
উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান শাহীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।