নীলফামারী প্রতিনিধিঃ 29 August 2020 , 8:30:16 প্রিন্ট সংস্করণ
অযত্ন অবহেলায় পরে রয়েছে দারোয়ানী রেল স্টেশন।এই স্টেশনে এখন আর থামে না লোকাল কিংবা আন্তঃনগর ট্রেন। স্টেশনটি সচল না থাকায় স্হানীয় উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এই এলাকার মানুষ।
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের অবস্থিত এই স্টেশন,আর্বজনার স্তুপ আর বিরাণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে কক্ষগুলো।
যেন কাঠখড়ি আর গবাদি পশুর বিশ্রামাগার ঘর এগুলি।কক্ষ গুলোর পরিচয় হিসেবে টিকেট কাউন্টার, স্টেশন মাষ্টার আর বিশ্রামাগারের চিহ্ন যেন এখনো হারিয়ে যায়নি।
সাত আট বছর আগেও এই স্টেশনে সব ধরনের ট্রেন থামতো।লাইনে দাড়িয়ে মানুষ টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতো।এই স্টেশন ব্যবহার করে পাশ্ববর্তী খানসামা, পাকের হাট, বীরগঞ্জ ও রানীরবন্দর এলাকার মানুষরা সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, ভবানীপুর, ফুলবাড়ি যেত।জীবিকার জন্য এখান থেকে আলুর বস্তা নিয়ে বিক্রি করা হতো খুলনায়।
কিন্তু স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার পর সবধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। মাত্র আধাকিলোমিটার পূর্বে উত্তর বঙ্গের একমাত্র ইপিজেড “উত্তরা ইপিজেড ” অবস্থিত যেখানে প্রায় ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার) শ্রমিক কর্মরত। শ্রমিকরা ট্রেন ব্যবহার করে নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারেন এই পথ দিয়ে সেই দাবী জানান।
ইপিজেডের উৎপাদিত মালামাল এখানে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।স্টেশনটি চালু হলে এলাকাটির অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
রেল মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম সুজন ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আবেদন এলাকাবাসীর স্টেশনটি চালু করার জন্য।