বঙ্গ ডেস্ক 7 September 2020 , 5:19:10 প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হত্যা মামলায় দেবর-ভাবির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন- দৌলতপুর উপজেলার হায়দারের চর গ্রামের আলমগীর হোসেনর ছেলে মো. সজিব হোসেন (৩২) এবং তার বড় ভাবি প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুন (২৫)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার হায়দারের চর গ্রামের নাহারুল ইসলামের ছেলে রনি (৩০) নিজ বাড়ি থেকে পাশের সোনাইকুন্ডি বাজারে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ৬নং চিলমারি ইউনিয়নের উদয়নগরস্থ পদ্মা নদীর চর থেকে যুবক রনির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ এঘটনায় নিহতের বাবা নাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র নং ৩২০। সেখানে তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুনের সঙ্গে যুবক রনির পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয় যা দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। রনি তাদের দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের বিষয়গুলো মোবাইল ফোনে ধারণ করে গৃহবধূ সীমা খাতুনকে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে। একপর্যায়ে রনির চাহিদাও বাড়তে থাকে। এতে ক্ষুব্ধ সীমা খাতুন বিষয়টি তার দেবর সজিব হোসেনকে খুলে বলেন এবং সাহায্য চান। পরে ভাবি-দেবরের যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে যুবক রনিকে হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়।