সারাদেশ

পার্বতীপুরে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদ নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ

  আনোয়ারুল ইসলাম, পার্বতীপুর প্রতিনিধি 14 September 2020 , 10:50:45 প্রিন্ট সংস্করণ

পার্বতীপুরে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদ নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ

কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপি স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। এর মাঝেও থেমে নেই নিয়োগ বাণিজ্য। এমন ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জাহানাবাদ দারুল উলুম আলীম মাদরাসায়। শুধু তাই নয়, নবসৃষ্ট তৃতীয় শ্রেণির একটি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক নবসৃষ্ট অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী হিসেবে একটি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন ৮ ব্যক্তি। তারা হলেন- আব্দুর রহমান, শাহিনুর ইসলাম, মেহেদী হাসান, জোবায়দুর রহমান, আপেল মাহমুদ, মনারুল ইসলাম, মোরশেদ ও কবির হোসেন। এর মধ্যে, কবির হোসেন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করলেও তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নি।

 

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে শহরের তালিমুন্নেছা মহিলা আলিম মাদরাসায় লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। টানা ৪০ মিনিট চলে এ পরীক্ষা। ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহম্মদ হোসাইন। তবে, পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ নম্বর প্রাপ্ত হওয়ায় মনারুল ইসলামকে প্রথম ঘোষনা করেন নিয়োগ বোর্ড। নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা শেষে ফলাফল ঘোষনা করার কথা থাকলেও পরদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত তা করা হয়নি।

 

সকাল সাড়ে ১০টায় ওই মাদরাসায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ্ব রইচ উদ্দীন প্রামানিক কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে তার বাড়িতে মিটিং করছেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ্ব রইচ উদ্দীন প্রামানিক সাংবাদিকদের বাইরে বসিয়ে রেখে কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল ঘোষনার ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। তবে তিনি বলেন, শুক্রবার নামাজের দিন হওয়ায় রেজাল্ট প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একারমুল হকের মনোনীত প্রার্থী বাবুপাড়া মহল্লার বেলাল হোসেনের ছেলে মনারুল ইসলামকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় প্রথম করানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষার আগেই তাকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিলো। মাদরাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব একরামুল হক নিয়োগের বিষয়ে বলেন, বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে এবং শুক্রবার দিনই ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। তবে, টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগের বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহা-পরিচালকের প্রতিনিধি ও রংপুর বিভাগের পরিদর্শক মুহম্মদ হোসাইন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রথম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে, তিনি সেই প্রার্থীর নাম বলতে পারেন নি।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।