তাজরুল ইসলাম,পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধিঃ 1 October 2020 , 8:26:41 প্রিন্ট সংস্করণ
ভাড়ায় চাািলত অটো হারিয়ে ফেলায় এক কিশোরকে বেধে রাতভর নির্মমভাবে নির্যাতন ও সিগারেটের আগুনে সারা শরীর নির্মম ভাবে ছ্যাকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরদিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আর ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারীর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তরাম বটতলা নামক স্থানে। ঘটনাটি নিয়ে ওই এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের কামদেব গ্রামের সৈয়দ আলী ছেলে কিশোর কাওছার আলম (১৫) দীর্ঘদিন থেকে ভাড়া নিয়ে অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। ঘটনার দিন গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাশ্ববর্তী উত্তর অনন্তরাম বটতলা গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার একটি অটো ভাড়া নিয়ে যাত্রীসহ রংপুর শহরের সুপার মার্কেটে যান।
এসময় অটোটি রাস্তার ধারে রেখে যাত্রীর মালামাল নিয়ে মার্কেটের ভিতরে গেলে কে বা কাহারা তার অটোটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়টি অটো মালিক সুজন মিয়াকে জানালে তিনি রংপুর থেকে চালক কাওছার আলমকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে রাতভর নির্মম ভাবে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং সিগারেটের আগুনে সারা শরীর ছ্যাকা দেন।
এসময় কিশোর কাওছার আলমের
আত্বচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলেও সুজন মিয়ার ভয়ে কেউ তাকে উদ্ধার করেনি। পরদিন স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি ওই কিশোরকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ হাসপাতালে যান এবং কিশোর কাওছার আলমের খোঁজ খবর নেন।
হাসপাতালে থাকা তার নানী রেজিয়া বেগম বলেন, এভাবে মানুষ মানুষকে নির্যাতন করতে পারে না! সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত করে ফেলা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর নির্যাতনকারীরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা করলে জীবন নাশের হুমকিও দিয়েছে তারা।
আমি নির্যাতন কারী সুজন মিয়ার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ঘটনাটি নিয়ে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।