তিনি বলেন, নিহতের বিধবা স্ত্রীকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিতে হবে। স্থানীয় অনেক শুন্যপদ রয়েছে সেখানে তাকে চাকরি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি করছি। এসময় তিনি নিহত রবিউলের একমাত্র মেয়ে (৮ মাস) ভরন পোষণের জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে দেওয়ার ঘোষনা দেন।
এর আগে, জিএম কাদের লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের হেফাজতে মৃত রবিউল ইসলাম খানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। এরপর নিহতের কবর জিয়ারত করেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে বৈশাখী মেলায় জুয়া খেলা সন্দেহে রবিউল ইসলামকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরে সদর হাসপাতালে রবিউলের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের দাবি পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের লাথিতে গোপনাঙ্গে আঘাত পান তিনি। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে টানা দুই দিন মহাসড়কের অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। ফলে অভিযুক্ত সদর থানার এসআই হালিমকে শুক্রবার দুপুরের দিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আতিকুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা না হলেও সদর থানা পুলিশ এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। তবে খুব দ্রুত সময় আদালতে মামলা দায়ের করা কথাও জানানো হয় রবিউলের পরিবারের পক্ষ থেকে।