বঙ্গ ডেস্কঃ 10 August 2020 , 6:40:49 প্রিন্ট সংস্করণ
মরণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য জোড় প্রচার প্রচারণা চালালেও জনসাধারণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে ঘরে কিংবা বাহিরে অবাধে চলাফেরা করছেন। এতে মানুষের মাঝে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বেড়েই চলছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ীতে ১৪ এপ্রিল গার্মেন্টেস কর্মী প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ায় তার সস্পর্শে এসে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সেস ,স্বাস্থ্যকর্মী ও ওসিসহ গত পাঁচ মাসে মরণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বর্তমানে এ উপজেলায় ১৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধী রয়েছে। এদের মধ্যে ১ জন হাসপাতালে ও ১৩ জন নিজ বাড়ীতে আইসোলেসনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সর্ব মোট এ পর্যন্ত ৪,৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত গার্মেন্টেস কর্মী তাজুল ইসলাম (৩০) ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসলে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ১২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ১৪ এপ্রিল তার করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে এবং উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী হিসাবে সনাক্ত হয়। পরে হাসপাতালে ১৯ দিন আইসোলসনে চিকিৎসা শেষে ২ মে সুস্থ পরিবারের মাঝে ফিরে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শামসুন্নাহার জানান, প্রতিটি মানুষ মূখে মাস্ক ও স্বাস্থ্য বিধি না মানলে সামনে করোনার ঝুঁকি বারবে। তাই অবাধে চলাফেরা করা যাবে না। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে গেলে অবশ্যেই মুখে মাস্ক ও স্বাস্থ্য বিধি মানা খুবেই জরুলী। তা না হলে করোনার ঝুঁকি দ্বিগুন হারে বারবে। আমরা বার বার হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীদের স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। কোন রোগী মুখে মাস্ক ছাড়া হাসপাতালে আসলে তাদেরকে মাস্ক ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সেই সব রোগীর করোনার সমুনা সংগ্রহ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, করোনার ঝুঁকি এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য জোড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে অবাধে চলাফেরা না করে, যেন উপজেলাবাসী সকলেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে সে জন্য উপজেলা জুড়ে মাইকিং , লিফলেট, মাস্ক বিনামূল্যে বিতারণ অব্যাহত আছে। আমরা সকলেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে করোনা থেকে মুক্তি পাবো। বিশেষ করে রাত ৮টার পর কোন হাট-বাজার খোলা রাখলে ব্যবসায়ীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জড়িমানা করা হবে। বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘরের বাহিরে না যায় এবং সরকারী নিয়ম মেনে ও মাস্ক পড়ার জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিযেছেন এই কর্মকর্তা।