সারাদেশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 29 November 2020 , 3:34:19 প্রিন্ট সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বহুল প্রতিক্ষীত যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৯ নভেম্বর)
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই প্রান্তে অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে
আয়োজিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল
ইসলাম সুজন। বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, জাপানের
মাসাতো ওয়াতানাবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে
মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪
আসনের এমপি তানভীর ইমাম, সিরাজগহ্জ-৫ আসনের এমপি মমিন মন্ডল, পাবনা-১
আসনের এমপি শামসুল হক টুকু ও রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, পানি সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়রি সচিব কবির বিন আনোয়ার অপু, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ সুপার
হাসিবুল আলমসহ রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল
লেনের ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ
অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেল সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাইকা। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত
হবে। এই সেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে একইসঙ্গে দুটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
পাশাপাশি সব ধরনের মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-
পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ব্রডগেজ ও মিটারগেজের চারটি ট্রেন
দৈনিক আটবার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদা বাড়তে থাকায় সেতুর
ওপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে
ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় সেতুর ওপরে চলাচলকারী ট্রেনের গতিসীমা।বর্তমানে ৩৮টি ট্রেন নিয়মিত স্বল্প গতিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও সময় অপচয়ের
পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়, বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা
নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বড়
ডেডিকেডেট রেল সেতু।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।