সারাদেশ

বদরগঞ্জে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

  বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ 8 October 2020 , 4:04:30 প্রিন্ট সংস্করণ

বদরগঞ্জে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

রংপুরের বদরগঞ্জে কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রী খ্রিষ্টান ধমার্বলম্বি রুখিয়া রুলফি রাউথ এর খুনিদের ফাঁসির দাবীতে ব্যানার ফেষ্টুন ছাড়াই মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নেরখোর্দ্দবাগবাড় এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেয় গ্রামের সকল নারী পুরুষ।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত লোকজন খুনিদের ফাঁসির দাবী জানান। নিহত রুখিয়া
রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস (অনার্স) বিভাগের শেষ বর্ষের
শিক্ষার্থী।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৫অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে রংপুরে
যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় রুখিয়া। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরের দিন মঙ্গলবার (৬সেপ্টেম্বর) সকালে পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর
ইউনিয়নের পাঁচপুকুরিয়ার শালবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত
কেন্দ্র। পরে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
লাশের পরিচয় জানতে ওইদিন সন্ধ্যায় দিনাজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি তদন্ত দল মৃতের হাতের আঙ্গুলের ছাপ নেয়। এতে করে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে চেহারার ছবি মিলে যাওয়ায় তার পরিচয় নিশ্চিত হয় যে বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউপির খোর্দ্দবাগবাড় মিশনপাড়া গ্রামের দিনেশ রাউথের মেয়ে সে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ তিনজনকে
গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,খোদ্দবাগবাড় গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে আনিছুল হক(২৯),বাচ্ছু খানের ছেলে অটোচালক রাজ খান (২৭) ও পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের দুগার্পুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আশিকুজ্জামান (৪০)।

পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা জানান,তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে
নিহতের পরিচয় সনাক্তের পর হত্যাকারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনিছুল রুখিয়া রাউথকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। ঘাতক আনিছুল জানান,আমার সাথে রুখিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি ২মাস আগে অন্যত্র বিয়ে করায় রুখিয়ার সাথে আমার ঝগড়া হয়।

গত সোমবার আমরা যখন অটো
রিক্সায় করে রংপুর যাচ্ছিলাম তখন আমাদের দুজনের মাঝে বাকবিতন্ডা হওয়ার এক পর্যায়ে আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলায় ওড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাচপুকুরিয়া শালবাগান এলাকায় তার লাশ ফেলে রেখে আসি।

আরও খবর

Sponsered content