আকাশ রহমান, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: 13 September 2020 , 10:40:56 প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুরের বদরগঞ্জে প্রশাসনের চোখে ফাকি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নি¤œমানের গো-খাদ্য। প্রতি বছর এই সময়ে খাদ্য সংকটের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমান খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে থাকেন বলে ভুক্তভোগী খামারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমের শেষের দিকে উপজেলার সর্বত্র দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট।ঘনঘন বৃষ্টি কিংবা দিগন্ত জুড়ে আমন চাষাবাদের কারণে গরুর প্রধান খাদ্য সবুজ ঘাস মিলছেনা। যার ফলে গরু পালনকারী ও খামারীরা কুড়ো, ভুষি, খড় ও তৈরিকৃত কৃত্তিম ফিডের উপর নির্ভর করছে। এই সুযোগে পৌর শহরের ষ্টেশন পাড়ার মৃত বাবুয়া এর ছেলে মোঃ মেহেবুব আলী পরিত্যক্ত ভুট্রা ও পঁচা চিটা ধান দিয়ে নি¤œমানের গো-খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করছেন। খামারীরা হাতের কাছে পাওয়া এসব নি¤œমানের গো-খাদ্য তাদের গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর পর দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ বালাই।এ বিষয়ে গতকাল রবিবার কালুপাড়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের কৃষক লোকমান আলী ও রামনাথপুর ইউনিয়নের উত্তর মুকসেদপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম ও ফজুল হক বলেন, হাট-বাজারে যে দামে গো-খাদ্য কিনতে পাওয়া যায়, তার চেয়ে অনেক কমদামে মেহেবুব আলীর তৈরি গো-খাদ্য পাওয়া যায়।এতে করে প্রতিনিয়ত সাধারণ খামারীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। অথচ, তার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
এ প্রসঙ্গে গো-খাদ্য তৈরিকারী মিল মালিক মেহেবুব আলী দাম্ভিকতার সহিত বলেন, শুধু আমি একা নই, আরো অনেকেই এই গো-খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করছেন। এতে দোষের কিছু দেখিনা।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসানের সাথে আলাপকালে তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ^াস দেন।