সারাদেশ

তারাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে নন্দের বাড়ি’তে স্কুলশিক্ষিকা মুক্তি’র অনশন

  সিরাজুল ইসলাম বিজয়ঃ 28 September 2020 , 11:32:58 প্রিন্ট সংস্করণ

nondo taragonj

রংপুরের তারাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন মুক্তি রানী (২৩) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা।

কিন্তু প্রেমিকার এমন কর্মকাণ্ডে লোকলজ্জায় প্রেমিক নন্দরাজ বাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামে।

 

জানা গেছে, উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ও শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায়ের পুত্র নন্দরাজ রায়ের (২৬) সাথে প্রায় দীর্ঘ আট বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পার্শ্ববতী নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেল্লাবাড়ি বাবুপাড়া গ্রামের ভুপেন্দ্র নাথ রায়ের কন্যা মুক্তি রানী (২৩)।

মুক্তি তারাগঞ্জ  জিকেএস স্কুল ও কলেজের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত  রয়েছেন। ওই প্রেমিক-প্রেমিকা তাদের ভালোবাসার বন্ধন পাকাপোক্ত করতে গত বছর ২৭শে নভেম্ববর ২০১৯ইং গোপনে আদালতে এফিডেফিট করে বিয়ে করেন।

কিন্তু এর মধ্যে গত প্রায় তিন মাস থেকে হঠাৎ প্রেমিক নন্দরাজ প্রেমিকা মুক্তি রানীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

শত চেষ্টায় মুক্তি রানী নন্দকে নাগালে নিতে পারছিলেন না। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষিকা প্রেমিক নন্দরাজের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। ওই দিনেই তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করেন অনন্ত রায় সহ তার পরিবারের লোকজন।

এক পর্যায়ে মুক্তিকে অনন্ত রায় তার বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেন। পরে অনন্ত রায়ের বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন মুক্তি। সেখানেই অবস্থান করেন বিয়ের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য।

আর এদিকে সুযোগ বুঝে নন্দরাজ বাড়ি থেকে সড়িয়ে পড়ে গা ঢাকা দেন।

নন্দরাজের পিতা অনন্ত রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছেলে যাই করুক না কেন। এই মেয়েকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

মুক্তি রানীর সাথে কথা হলে সে জানায়, আমাকে নন্দরাজ কোর্টে নিয়ে বিয়ে করেছেন। স্বামী স্ত্রীর মত শারিরীক ভাবে আমাকে ব্যবহার করেছে।

কিন্তু এর মধ্যে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অনেক চেষ্টার পরেও তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমি স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই নন্দরাজেই বাড়ি এসেছি।

‘অভিযুক্ত’ নন্দরাজের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রেমিকা মুক্তি রানীকে কোর্টে নিয়ে বিয়ে করেছি এটা ঠিক। কিন্তু ওর সাথে কথা ছিল আগে নিজের পায়ে দাঁড়াই, পরে বাড়িতে নেব। কিন্তু মুক্তি এর আগেই বাড়িতে চলে আসবে ভাবতে পারিনি। নিজের ভুলের কারনে আজ এমন পরিনতির স্বীকার আমি।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।