মোঃ রাব্বি ইসলাম আব্দুল্লাহ ( নীলফামরী জেলা) প্রতিনিধি 27 August 2020 , 1:14:35 প্রিন্ট সংস্করণ
নীলফামারীর জলঢাকা পৌর এলাকার সবুজপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এরশাদ আলী (২৮)। তিনি পেশায় দোকান কর্মচারী। তিনি চার বছর আগে পৌর এলাকার চ্যারেঙ্গা গ্রামের মৃত সুলতান আলীর মেয়ে রোজিনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরশাদের বিয়েতে তাঁর অমতে যৌতুক হিসেবে ৯০ হাজার টাকা নেয় পরিবার। অবশেষে গত শুক্রবার এরশাদ ওই টাকা তাঁর শাশুড়িকে ফেরত দেন।
খবর পেয়ে বিষয়টি জানতে ওই গ্রামে গিয়ে গতকাল ২৬শে আগস্ট বুধবার দুপুরে কথা হয় এরশাদের শাশুড়ি রাবেয়া বেগমের (৬০) সঙ্গে। এ সময় রাবেয়া বলেন, ‘ওই টাকা ফেরত নিতে চাইনি। এরশাদ জোর করে দিয়েছে। এখন ওই টাকা দিয়ে বন্ধক রাখা জমিটা ফেরত নিব।’
এর আগে গতকাল সকালে উপজেলা শহরের ভাই ভাই হার্ডওয়্যার দোকানে গিয়ে কথা হয় দোকান কর্মচারী এরশাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিয়ের সময় আমি যৌতুক নিতে চাইনি। আমার পরিবার যৌতুক নিতে বাধ্য করে। বিয়ের পর আমি স্ত্রীকে বলেছি, একদিন ওই টাকা ফেরত দিব। আমি সঞ্চয় করে প্রথমে একটি গাভি কিনি। একপর্যায়ে টাকা হয়ে গেলে সিদ্ধান্ত নিই, টাকা ফেরত দেওয়ার।পরে আমার পরিবারের সদস্যদের বলি যৌতুকের টাকা ফেরত দিব। তখন বাবা বলেন, তুমি রোজগার করে দিবে সেটা তোমার ব্যাপার।’
এরশাদ আরও বলেন, ‘বিয়ের সময় শাশুড়ি ৪০ হাজার টাকায় একটি গাভি বিক্রি করেন ও জমি বন্ধক রেখে আরও ৫০ হাজার টাকা দেন। আমি সে হিসেবে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভি ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দিই। প্রথমে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন টাকা নিতে রাজি হননি। তাঁরা ভাবেন, হয়তো আমার স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়েছে। পরে বুঝিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবার টাকা ও গাভিটি দিয়ে আসি। এখন আমার খুব ভালো লাগছে। আমি লেখাপড়া জানি না, কিন্তু জানি যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ।’