সারাদেশ

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে ফের বন্যার আশংকা

  উলিপুর (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ 17 September 2020 , 6:51:34 প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে ফের বন্যার আশংকা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে
ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নদী অববাহিকার বিস্তৃর্ণ
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বোরো ধান ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সম্প্রতি ভয়াবহ
বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যার আশংকায় চরম দুঃচিন্তায় প্রান্তিক
চাষিরা। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে নদ-নদীর তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসজিদ, কয়েকশত ফুট পাঁকা রাস্তা,প্রায় আড়াই শতাধিক বসতভিটা ও কয়েকশ হেক্টর আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে এ উপজেলায়
২৪ হাজার ২’শ ৩০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেতের মধ্যে ৭৫ হেক্টর, সবজি ক্ষেত ২ হেক্টর ও মাসকালাই ১০ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, আব্দুর রহমান, মুকুল মিয়াসহ অনেকে জানান, গত বন্যায় দীর্ঘ সময়ে পানিতে তলিয়ে থাকায় বোরো
বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়।

অনেক কষ্ট করে ধার-দেনার টাকায় চারা সংগ্রহ করে রোপন করি। আবার ব্রহ্মপূত্রে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এবার নষ্ট হলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। ধার-দেনার টাকাও শোধ করতে পারবো না।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বলেন, আবার ব্রহ্মপূত্র নদের পানি
বৃদ্ধি হওয়ায় ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে। অনেক কৃষক এখন ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম আমিন বলেন, এক সপ্তাহের
ব্যবধানে শতাধিক বাড়ি-ঘর, পাকা রাস্তা ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে
গেছে এবং ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছ।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ফসলের
ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content