ফেনসিডিলের কারণে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে দাবী করে আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম প্রধান বক্তব্যে বলেন, ‘আমি নিজেই এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না’।
জেলা পুলিশ সুপারের সামনে ফেনসিডিল খাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে বেশ সমালোচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের ওই নেতা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আজিজুল ইসলাম বলেন, সত্য বলবো তাতে জেল ফাঁস যা হয় হোক। ভারতে ফেনসিডিল মাত্র ৩৫ টাকা। এই ফেনসিডিলের কারণে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে। আমার তিন ছেলে মাস্টার্স পাস করেছে। তাদের নিষেধ করলেও ওপর আরও আগ্রহী হয়ে নেশা খাচ্ছে। ভারতে গিয়ে আমি নিজেও এক বোতল খেয়েছি, ঘুম ছাড়া কিছু হয় না। ভারতে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি, দেশের তুষ্কা সিরাপের মতই ফেনসিডিল। যাতে ঘুম ছাড়া কিছু নেই। অথচ এটার জন্য হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে।
বিষয়টা বঙ্গবন্ধু কন্যার নজরে আনা যায় কি না? ভারত থেকে ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কিনে ৭০ টাকা ট্যাক্স নিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলেও ব্যবসা হবে রাজস্ব বাড়বে সরকারের। তাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা করা দরকার বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম প্রধান। তার এমন বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সবাই অট্টহাসি দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় কৌশলে তার বক্তব্য থামিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম। এমন বক্তব্যে হতভম্ব হয়ে পড়েন খোদ প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল আমদানিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা আওয়ামী লীগ নেতার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মহুর্তে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফেনসিডিল নামের যে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বারবার প্রশাসনকে কঠোর হতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। ঠিক সেই সময় সরকারের তৃণমূল নেতা ফেনসিডিল আমাদানিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশাসনের সামনে ফেনসিডিল খাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।