সারাদেশ

মরার ওপর খঁরার ঘাঁ-কাউনিয়ায় গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া

  বঙ্গ ডেস্ক 8 August 2020 , 5:45:53 প্রিন্ট সংস্করণ

মরার ওপর খঁরার ঘাঁ-কাউনিয়ায় গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া

রংপুরের কাউনিায় উপজেলায় গরুর খামারীদের মাথায় হাত, বর্তমানে গো-খাদ্য খরসহ অনান্য খাদ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। করোনার প্রভাবে এমনিতেই খামারীদের বেহাল অবস্থা তার উপর গো খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারীদের এখন মরার ওপর খ৭রার ঘাঁ অবস্থা।

সরেজমিনে বিভিন্ন হাটবাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে অনেক খামারী কোন চাকরী না পেয়ে আশায় বুক বেধে গরুর খামার শুরু করেছে, শুরুতে ভালই চলছিল খামার কিন্তু বর্তমানে একদিকে করোনা অন্য দিকে খর সহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ভাবছে খামার বন্ধ করে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাওয়ার।

কাউনিয়া তকিপল হাট ও খানসামা হাটে গিয়ে দেখা গেছে গত বছর এসময়ে মাঝাড়ী আকারের ধানের আটি (খর) এর দাম ছিলো ৩’শ টাকা শ’ অর্থাৎ ১ হাজার ধানের আটির দাম ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি হাজার ধানের আটি (খড়) বিক্রয় হচ্ছে ৭ থেকে ৮হাজার টাকায়। অন্য দিকে ভুসি ও ঔষদের দামও দ্বিগুন বেরেছে। খরের দাম দ্বিগুন হওয়ায় অনেকেই খর না কিনেই বাড়ী ফিরছেন। হাটে খর কিনতে আসা নিজপাড়া গ্রামের আশরাফুল পুর্বচান্দঘাট গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান ধানের খরের এতো দাম যে গরু পোষা দুরহ হয়েযাচ্ছে। তার দুইটি গরু বর্গা (আদি) নিয়ে লালন পালন করছে, কোরবানী ঈদে বিক্রি করতে চয়েছিল দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেনি। তার অনেক আশা ছিলো গরু গুলোকে একটু স্বাস্থবান করে বকরী ঈদে (ঈদুল আজহা) সময় বিক্রয় করে বার্তি কিছু আয় করার সে আশা ভেস্তে গেছে। খামারীরা জানায় গরুকে শুধু রাসায়নিক খাবার যেমন ভূসি, ভুট্রার গুড়া, বিদেশী ঘাস খাওয়ালে গরু সুস্থ থাকেনা। তবে এবছর মাচা করে কিছু ধানের আটি রাখায় তা ভাল দামে বিক্রয় করতে পারলাম।

প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার সরকার জানান গো-খাদ্যোর দাম বৃদ্ধিপাওয়ায় খামারীদের বেশ আসুবিধা হচ্ছে। গরুর খামারীদের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত প্রনদনা প্রয়োজন। গরু খামারীরা মনে করছেন দুধ এবং মাংসের চাহিদা পুরনে খামারীদের কৃষি প্রনদনার আওতায় আনাসহ মৌসুমে সরকারী ভাবে খর সংগ্রহ করে পরবর্তিতে তা খামারীসহ গরু পালন কারীদের মাঝে বিতরণ করার ব্যবস্থা করা। সেই সাথে কৃষি ঋণ সহজশর্তে প্রদান করা।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।