আমিরুল কবির সুজন,মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধিঃ 9 September 2020 , 7:43:15 প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারী বন বাগানে কাঠ চুরির সময়
ট্রাক্টরসহ বিপুল পরিমান চোরাই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনা ঘটে গত শনিবার গভীর রাতে বন বিভাগ রংপুর রেঞ্জের মিঠাপুুকুরস্থ শাল্টিগোপালপুর বিটের রামনাথপুর সরকারী বন বাগানে।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে একটি সংঘবদ্ধ কাঠচোর বন বিভাগ রংপুর রেঞ্জের সদর বিট মিঠাপুুকুরস্থ
শাল্টিগোপালপুর বিটের রামনাথপুর সরকারী বন বাগান থেকে কাঠ চুরি করে আসছিল। ঘটনার দিন একটি ট্রলিযুক্ত বড় ট্রাক্টর লাগিয়ে মুল্যবান আকাশমনি কাঠ পাচারের উদ্দেশ্যে গভীর রাতে চুরি করে কেটে ট্রাক্টর
বোঝাই করছিল।
এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করালে তিনি নিজ ষ্টাফসহ স্থানীয় জনতা ও ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে একটি ট্রলিযুক্ত বড় ট্রাক্টর এবং পাচারের উদ্দেশ্যে
চোরাইভাবে কর্তন করা বিপুল পরিমান আকাশমনি কাঠ উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত কাঠের পরিমান ও মুল্য নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান একস্থানে ৩৫/৩৬টি, একস্থানে ৪০/৪২টি ও একস্থানে ১০/১২টি চোরাই গোলাই গাছ উদ্ধার করেছেন বিট কর্মকর্তা।
ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী জানান, বিট কর্মকর্তার অনুরোধে তিনি সেখানে গেছেন। বিট অফিসার ট্রাক্টরের পাশে থাকা চোরাই কাঠ ছাড়াও আশে পাশে ঝাউ-জংলা, ফসলের ক্ষেত ও বসতবাড়ী হতে বেশ কিছু চোরাই কাঠ উদ্ধার করেন। ঘটনাটি গভীর রাতে হওয়ায় তিনি পোকা-মাকড় সাপের
ভয়ে বাগানের ভিতর বা উদ্ধারস্থান সমুহে বিট কর্মকর্তার সাথে না গিয়ে ঘটনাস্থলে রাস্তায় ছিলেন।
তাই বিট কর্মকর্তা সঠিক কতটা চোরাই
গোলাই কাঠ উদ্ধার করেছেন তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে তার অনুমান
৩৫/৩৬ হতে ৪০/৪২টি চোরাই গাছ উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার হওয়া চোরাই গাছের মুল্য সম্পর্কে গ্রামবাসীরা জানান, চোরাই উদ্ধার গাছগুলি আকাশমনি কাঠ। যা অত্যান্ত দামী কাঠ। ৩লক্ষ টাকা মুল্যমানের হতে পারে।
এব্যাপারে রংপুর রেঞ্জের সদর বিট মিঠাপুুকুরস্থ শাল্টিগোপালপুর বিট
অফিসে অফিসে কয়েকদফা যোগাযোগ করে বিট কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে অফিসে না পেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রথমতঃ এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের
অনুমতি লাগবে বলে জানান। পরে সরকারী বন বাগানের আকাশমনি কাঠ একটি চক্র বিক্রির উদ্দেশ্যে গভীর রাতে চুরি করে কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করছিল যা তিনি জনতার সহায়তায় ট্রাক্টরসহ আটক করেছেন বলে জানান।
চোরাই উদ্ধার গাছের পরিমানে তিনি ১০/১২টি গাছের গোলাই-এর কথা
বলেন। তখন চোরাই উদ্ধার সংক্রান্তে গ্রামবাসীদের দেয়া তথ্যের বিষয়টি
তাকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং গ্রামবাসীরাই গাছ চুরি করে বলে জানান। অপরদিকে গাছ চুরির বিষয়ে গ্রামবাসীরা উক্ত বিট কর্মকর্তাসহ বন সংরক্ষন স্থানীয় কমিটিকে দায়ী করেন।