সারাদেশ

রংপুরে চাল ও সবজির বাজারে মূল্য বৃদ্ধি, নেই মনিটরিং

  বঙ্গ ডেস্ক 19 August 2020 , 10:49:47 প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুরে চাল ও সবজির বাজারে মূল্য বৃদ্ধি, নেই মনিটরিং

ঈদের পর বাজার কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে বাজারে চাল ও সবজির মূল্য বেড়েছে। তবে ডিমের মূল্য স্বাভাবিক থাকলেও বয়লার মুরগির মূল্য কমেছে। সবজির বাজারের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ও বন্যার কারণে বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে।

 

অপরদিকে বাজারের অস্বাভাবিক দরপতনে মাঠে নেই ভোক্তা অধিদপ্তর। সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারের ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় বেশি সময় ধরে বন্যার কারণে সারাদেশে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। যার প্রভাবে বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বিক্রি হওয়া আলু, পটল, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, করলা, পেঁপেসহ প্রায় সব ধরণের সবজির মূল্য বড়েছে।

 

নগরীর সিটি বাজার, স্টেশন বাজার, মাহিগঞ্জ, লালবাগ, সাতমাথা, সিও বাজার, মর্ডাণ মোড়, তামপাটসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ষার কারণে মান ও বাজার ভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটির কেজি ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গাঁ ৪৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর মূখি ৫০ টাকা, কাকরোল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, দুধকুষি ৮০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। সবজির সাথে মূল্য বেড়েছে কাঁচা মরিচের। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ২০০ টাকা ও পেঁয়াজ
প্রতি কেজি ২৫ টাকা। এছাড়াও গরুর গোস্ত ৫৮০ টাকা ও খাসির গোস্ত ৮০০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর থেকে বাজারে ডিমের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদের পর থেকে ১০০ ডিম ৮০০ টাকায় কিনে ৩৪ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী গুলসান আহমেদ ও হাজী বেলাল হোসেন বলেন, বাজারে মোটা চাল আসছে কম। বর্তমানে হাইবীড ও গুটি স্বর্ণা ২ হাজার টাকা বস্তায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এখন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে চিকন চালের মধ্যে বিআর ২৮ (৫০ কেজি) ২ হাজার ৪০০ টাকা, বিআর ২৯ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা, কাটারীভোগ ২ হাজার ৫-৬শো ও নাজিরশাইল ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে বস্তা প্রতি মূল্য কিছুটা কম ছিল। এখন বেড়েছে। আসলে বন্যার কারণে চাল সরবরাহ কমে গেছে।

 

সবজি ব্যবসায়ী শকিল ও ওয়ারেজ মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে সবজির দাম বাড়তি ছিল। এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ। কাজেই সহসা সবজির দাম কমার সম্ভবনা খুব কম। করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাবের শুরুর দিকে সবজির দাম অনেকটা কম ছিল। তাছাড়া এখন বর্ষা ও বন্যার সময়। সব সবজির পচনটা তাড়াতাড়ি হয়।

 

কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আসলে সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাহিরে রয়েছে। করোনার সময়ে হাতের অবস্থাও ভালো নয়। এর সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে। আমরা সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম। সরকারের যারা নীতিনির্ধারক রয়েছে তাদের একটু খেয়াল রাখা দরকার। তাহলে সাধারণ জনগণ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিছু উপকৃত হবে।

 

জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক আফসান পারভীন বলেন, আমরা বাজার মূল্য বৃদ্ধিও সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে ব্যবসায়ীদের সর্তক করা ছাড়াও জরিমানা করা হয়। হঠাৎ করে সবজির মূল্য বৃদ্ধির খবর আমরা পেয়েছি। দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ে আমরা মাঠে নামব।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।