বঙ্গ ডেস্ক 17 August 2020 , 8:38:24 প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের উত্তর জন পদের দুই জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম। এই দুই জেলার সড়ক পথে এক মাত্র সংযোগ সড়ক হলো রংপুর-কুড়িগ্রাম(আর-কে রোড) মহাসড়ক। রংপুর তথা সারা দেশেরে সাথে ওই দুই জেলার লাখ লাখ মানুষের এমনকি বুড়িমাড়ী স্থল বন্দরের সাথে সড়ক যোগাযোগের এক মাত্র রাস্তা রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় এই জাতীয় মহাসড়কটির এখন বেহাল দশা। পথচারীরা বলছেন এ সড়কে চলাচল শুধু ঝঁকিপূর্ণই নয় শরীরের জন্যও মারাত্নক হুমকির। তবুও ঝঁুকি নিয়ে চলছে হাজার হাজার মালবাহী ট্রাক সহ যাত্রীবাহী বাস। আর সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরজমিনে দেখা গেছে ভেলুপাড়া,জুম্মার পাড়,বুড়ালবিজ্র, বিজলঘুন্টি, মীরবাগবাজার, জুম্মারপাড়, মীরবাগবাজার, হলদীবাড়ী রেলগেট, কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা, পীরগাছার তালুক উপাশু, নব্দিগঞ্জ বাজার রসিকের কলাবাড়ী, এরশাদ নগর, সাতমাথা, পার্কের মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে হাজারও বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়কের দু’ধারের বেশকিছু অংশ দেবে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দ। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন অটো চালক মফিদুল মিয়া তিনি বলেন ‘রাস্তার কথা আর কি কমো,নিজের চোখেই তো দেখলেন রাস্তার দশা,রাস্তা ভালো তো করেই না খালি ইট দিয়া মাঝে মাঝে ঢিপ্লা দেয় আর সরকারের টাকা গুলা মারি খায়। রিক্সা চালক বকুল মিয়া বলেন ‘এই আস্তাটাই হামার সংসার চালানোর একমাত্র ব্যবস্থা তোমরায় দেখেন আস্তাটার কি অবস্থা,আস্তাটা তো ভাল করার নাম নাই খালী টাকার মারার ফঁন্দি, আস্তটা ভালো না করলে একদিন হয়তো এক্সিডেনে হামরা মরি যামো,হামরা গরীম মানুষ ইস্কা চালায়া খাই হামার কথা কায় শোনে’। অপর দিকে মাইক্রোবাস চালক আবু বকর বলেন ‘আস্তার জন্যে মোর গাড়ীখ্যান তো গেলো কোন দিনবা মুইও যাও,এটাই মোর শ্যাষ কথা হয় আস্তা ভাল করেন না হয় আস্তা বন্ধ করি দেন, তাও হামাক আর তীলে তীলে মারেন না।’ ট্রাক চালক আবু জাফর বলেন উপায় নাই রাস্তা খারাপ না ভালো সেটার চেয়ে জীবন বাঁচানো ফরজ। অপরদিকে পাটগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কোস চালক ফজল মিয়া বলেন আরকে রোড ! এক ঘন্টার পথ যাইতে সময় লাগে চার ঘন্টা,তার ওপর আছে জীবনের ঝুঁকি। রাস্তা দেখে মনে হয় দেশে রাস্তা কর্তাগণ নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
মীরবাগ বাজারের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান জানান,গর্তের কারনে মেনাজ ফিলিং স্টেশনের কাছে স্প্রীড ব্রেকারের পাশে গর্তে পড়ে কুড়িগ্রামগামী মা-মনি পরিবহনের পিছনের চাকার পাতি ভেঙ্গে আটকে পড়ে। পরে ট্টাক্টরের সাহায্যে বাসটি টেনে তোলা হয়। ওই বাজারের ব্যবসায়ী আকমল জানান, গত বছর থেকেই সড়কে হাজার হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিনেই পন্যবাহী ট্রাক ও বাস আটকে পড়ে।
ঢাকাগামী এস আর পরিবহনের চালক শরীফুল ইলাম, টিয়া পরিবহনের চালক বজলে হোসেন মিয়া ও বগুড়াগামী রাকিব পরিবহের চালক সুবল হোসাইন, পাটগ্রামগামী বাসের চালক রহিম মিয়া বলেন, অন্য সড়কগুলোর চেয়ে একদিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হচ্ছে সরু। অপরদিকে অসংখ্য গর্তের কারণে সড়কটি চালকদের জন্য মহা আতঙ্কের। কখন দুর্ঘটনা ঘটে, মনে এই ভয় কাজ করে। সড়ক জনপদ বিভাগ (সওজ) রংপুরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলম খান বলেন, রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।