সারাদেশ

লোহাগড়ায় অফিস সহকারীর এত দাপট !

  মির্জা মাহমুদ রন্টু , (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি 16 September 2020 , 5:00:19 প্রিন্ট সংস্করণ

লোহাগড়ায় অফিস সহকারীর এত দাপট !

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর পদবি অফিস সহকারীর হলেও কর্মকর্তার ওপর ক্ষমতার প্রভাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে অতিসম্প্রতি লোহাগড়া উপজেলার পিআইও এস,এম.এ করিম নিজেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আগামী ২৪সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক উপপরিচালক (প্রশাসন ২) ড. মো. হাবিব উল্লাহ বাহার তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে নড়াইল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের কর্মরত অফিস সহকারী মোঃ মনিরুজ্জামান নিজ এলাকাতেই কর্মরত থাকায় কর্তব্যে খামখেয়ালীপনা ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে থাকেন। অফিসে আসা মানুষদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অশোভন আচরণ করে থাকেন। এছাড়া তিনি পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতির নাম ঠিক রেখে নিজেই কাজ করে অনৈতিকভাবে লাভবান হন।

এভাবে অফিস সহকারী মো.মনিরুজ্জামানের স্বজনপ্রীতির লোকদের সঙ্গে নিজে কাজে জড়িত থাকার নথিগুলো স্বাক্ষরের জন্য পিআইও’র নিকট উপস্থাপন করেন। নিয়মবহির্ভূত ওই নথিগুলোতে সঠিকতার স্বাক্ষর না করলে পিআইও এস, এম. এ করিমের ওপর অফিস সহকারী স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের দিয়ে প্রভাব খাটান।

অফিস সহকারী মো.মনিরুজ্জামানের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকার কথা বললে তিনি পিআইও করিমের ওপর চড়া হয়ে স্থানীয় লোকজনদের লেলিয়ে দিয়ে অপমান ও লাঞ্ছিত করেছেন। এমনকি ধূর্ত অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান উপজেলা কর্মচারী সমিতিকে ব্যবহার করে পিআইও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। তিনি ইতিপূর্বে নড়াইল সদর উপজেলা পিআইও অফিসে বদলি হয়ে যান। বদলির অল্প কয়েকদিন পর প্রভাব খাটিয়ে তদবীর করে পুনরায় নিজ উপজেলা লোহাগড়ায় বদলী হয়ে আসেন।

এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এম.এ করিম বলেন, মো. মনিরুজ্জামান আমার অধীনে কর্মচারী হলেও প্রভাবশালী মহলের চাপে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তাঁর পদবি অফিস সহকারীর হলেও তাঁর ক্ষমতা আমারও ওপরে। তিনি নিজ এলাকায় একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কর্মরত থেকে পাহাড়সম অনিয়মে জর্জরিত হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে পারেননি। যে কারণে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তাঁর অনিয়মের তদন্ত চলছে।

একই বিষয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে অহেতুক হয়রানি করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।