বঙ্গ ডেস্কঃ 11 October 2020 , 1:20:47 প্রিন্ট সংস্করণ
সজনে ডাটা খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। সজনে গাছের পাতা বা শাক ভর্তা হিসেবেও খাওয়া হয়। সজনে পাতা ভিটামিন এ এর বড় উৎস। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, আয়রণ সবই রয়েছে এই সজনে পাতার মধ্যে। এছাড়াও শরীরের কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জাদুর মতোই কাজ করে সজনে পাতা। তাইতো গবেষকরা সজনে পাতাকে বলেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড। পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব বলেই এর গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি।
করোনা মহামারীর এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক মাত্রায় পুষ্টি গ্রহণ করা। আর তাইতো প্রতিদিন বাড়িতে কিছু না কিছু তৈরি করছেন। তবে বাঙালী মাত্রই ভাত প্রিয়। ভাতের সাথে বিভিন্ন পদের তরকারী ও ভর্তা ছাড়া চলেইনা। আর তাইতো স্বাদের ভিন্নতা আনতে সজনে পাতার ভর্তা বানিয়ে ফেলুন আজই।
যেভাবে সজনে পাতার ভর্তা করবেন:
প্রথমে কিছু শাক ভালোভাবে বেছে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে। এরপরে একটি শুকনো তাওয়ায় টেলে নিন। টেলে নিলে বাড়তি পানিটুকু শুকিয়ে যাবে এতে ভর্তা আরো বেশি আঠালো হবে। টালা হয়ে গেলে এগুলো আলাদা করে তুলে রাখুন।
সজনে পাতার বীজও ভেষজগুণ সমৃদ্ধ.jpg
সজনে পাতার বীজও ভেষজগুণ সমৃদ্ধ
এবারে একটি ফ্রাইং প্যানে দুটো শুকনো মরিচ টেলে নিন। শুকনো মরিচের ঘ্রাণটা ভর্তার স্বাদে আলাদা মাত্রা যোগ করে। তবে যারা শুকনো মরিচ খেতে চান না তারা চাইলে শুকনো মরিচ নাও দিতে পারেন। মরিচ টালা হয়ে গেলে এগুলো তুলে একই প্যানে দিয়ে দিন এক টেবিল চামচ তেল। এবারে এতে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ পরিমাণ, কাঁচা মরিচ ৬টি, আধা কাপ পরিমাণ রসুনের কোয়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
পেঁয়াজ রসুন গুলো সিদ্ধ হয়ে একদম নরম হয়ে গেলে এখান থেকে অর্ধেকটা মশলা আলাদা করে তুলে রাখুন। এবারে পাত্রে থাকা বাকি মশলার মধ্যে টেলে রাখা সজনে পাতা দিয়ে দিন। এরপর স্বাদ মতো লবণ দিয়ে পাতাগুলো কিছুক্ষণ পেঁয়াজ-রসুনের সাথে ভেজে নিন। তেলে পাতাগুলো এমনভাবে ভাজতে হবে যাতে সিদ্ধ হয়ে যায় আর পানির লেশ মাত্র না থাকে। পানি থাকলে ভর্তা পাতলা হয়ে যাবে আর স্বাদটা হবে পানসে। পাতাগুলো ভাজা হয়ে গেলে এগুলো তুলে ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ড করে নিন।
সজনে পাতার ভর্তায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ
এবার টালা শুকনো মরিচ দুটির বোটা ছাড়িয়ে হাত দিয়ে মেখে গুড়ো করে নিন। এরপর এতে দিয়ে দিন আগে থেকে তুলে রাখা সেই ভাজা পেঁয়াজ-রসুন। রসুনগুলো হাত দিয়ে একটু গলিয়ে নিন। ভর্তার মাঝে তেলে ভাজা এই যে আস্ত পেঁয়াজ আর রসুন, তার যে স্বাদ সেটা কিন্তু বলে বোঝানো যাবে না। কেবল খেয়েই উপলব্দি করতে হবে।
শুকনো মরিচের সাথে পেঁয়াজ-রসুনও মাখিয়ে এতে দিয়ে দিন সামান্য সরিষার তেল। সরিষার তেল ভর্তার স্বাদ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। এই মাখানো পেঁয়াজ রসুনের সাথে ব্লেন্ড করা সজনে পাতা মাখিয়ে নিতে হবে। ব্যাস খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের এবং গুণে ভরপুর সজনে পাতার ভর্তা। গরম ভাতে এমন একটি আইটেম হলে বাড়তি আর কোনো আইটেমের দরকারই পড়ে না।