সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে গৃহবধূর বাবার বাড়ির স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তবে শারীরিক ক্ষত মিটলেও মানসিকভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বেশী। আর গৃহবধূর স্বজনরা এমন নির্যাতনের বিচার চেয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে জড়ান তাড়াশ সদরের গুলনাহার পারভিন মিনু আর শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মেহেদি হাসান সুজন। সব কিছু স্বাভাবিক নিয়মে চললেও হঠাৎ করেই মিনুর উপর সন্দেহ করতে থাকেন স্বামী সুজন। যদিও তাদের দুজনের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গৃহবধূ আর সুজনের বয়েসর পার্থক্য ১৪ বছর আর গৃহবধূ সুন্দরী হবার কারনে সুজনের সন্দেহ মিনু পরকিয়ায় জড়িয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই বছর খানেক ধরেই চলছে নির্যাতন। সংসার আর সন্তানের জন্য মিনু মুখ বুঝে সব সহ্য করতেন। তবে গৃহবধূর অভিযোগ তার স্বামীই সম্ভবত পরকিয়ার জড়িয়ে পড়ার কারনেই তার উপর অত্যাচার করেন। ১৩ নভেম্বর রাতে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী সুজন সহ অন্যরা মিলে তার উপর অমানষিক নির্যাতন চালায়। এ সময় মাথার চুল আর ভুরুও কেটে দেয় তারা।
তবে নির্যাতিতার স্বামী মেহেদি হাসান সুজন জানান, তার স্ত্রীর পরিকিয়ার বাধা দেয়ার কারনেই তাদের সংসারে অশান্তি। সেটি নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েই তিনি তার স্ত্রী উপরে শারিরীক অত্যাচার আর মাথার চুল ও ভুরু কেটে দেয়ার কথা স্বীকারও করেন।