মোস্তাক আহমেদ,কাউনিয়া(রংপুর) প্রতিনিধিঃ 14 October 2020 , 7:03:35 প্রিন্ট সংস্করণ
উন্নয়ন বঞ্চিত কাউনিয়ায় উন্নয়নের মহাসড়কে পাকা সেতুতে উঠতেই প্রয়োজন হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। প্রতি বছর বন্যায় এদৃশ্য তৈরী হলেও সংশ্লিষ্টরা নীরব দর্শক।
বর্তমানে সেতুটিও হেলে গেছে ও দুই পাশে রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো দিয়েই সেতুতে ওঠে।
সরেজমিনে দেখাগেছে উপজেলার আরাজি হরিশ্বর ও গোপিডাঙ্গা গ্রামের মাঝখানে মরা তিস্তা’র ওপর পাকা সেতু না থাকায় চরম
ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উপজেলার শহীদবাগ, বালাপাড়া ইউনিয়ন ও
লালমনিরহাট জেলার রাজপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের। এর পর এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, কেয়ার বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, এলজিইডি
রংপুর এর বাস্তবায়নে ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ১শত ৮৩ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা
সেতু নির্মাণ করা হয়।
সেতুটি নির্মাণের পর বছর দুই ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন এবং যাতায়াত উন্নত হয়। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় তিস্তার পানির তোড়ে সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যায়।
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও সেতুটির সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় সেখানে পথচারী এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সংযোগ সড়কের সংস্কার না করায় চরাঞ্চলের ১০ গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম
দুর্ভোগ। ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী জানান সেতুর দুই পাশের মাটি
সরে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও কারোই কোন পদক্ষেপ নেই। ব্যবসায়ী শহিদুল জানায় বন্যার পানিতে সেতুর সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেলে তা আর সংস্কার কিংবা পুননির্মাণ করা হয়নি। ছাত্র নাবিল
ও ছাত্রী ফারজানা জানায় সেতুরটির দুই পার্শের রাস্তা ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ হয়েগেলেও কেউ আমাদের চরের মানুষের খবর রাখে না। ফলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে। কৃষক আব্দুল আলিম
জানায় সরকার এতো উন্নয়ন করছে কিন্তু এই রাস্তাদিয়ে ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে সেটি ভেঙ্গে গেছে কিন্তু সংস্কার করার কোন পদক্ষেপ নেই।
এর ফলে চরে উৎপাদিত ফসল এর ন্যয্য মূল্য কৃষক পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও সেতুটির সংযোগ সড়ক জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন থেকে মেরামত না করায় বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ নিজ উদ্যোগে বাঁশ সংগ্রহ করে পারাপারের জন্য পাকা সেতুর সাথে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে পারাপার হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান গত বছর মাটি কেটে ভরাট করেছি এবার আবার বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। নদী অনুপাতে সেতু ছোট
হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে প্রতিবছর। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইও কে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ উলফৎ আরা বেগম জানান বিষয়টি সরেজমিনে দেখে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসী আক্ষেপ করে বলেন উন্নয়নের মহা সড়কে। সেতু আছে সড়ক নাই। সেতুটির সড়ক দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।