সারাদেশ

সৈয়দপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন হিমঘরে

  বঙ্গ ডেস্ক: 12 September 2020 , 12:22:21 প্রিন্ট সংস্করণ

সৈয়দপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন হিমঘরে

গত ঈদ-উল-আজহার আগে সরকারের বরাদ্দ দেয়া ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল জোটেনি সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ৪০০ গরিব পরিবারের ভাগ্যে। ভুয়া ব্যক্তিকে তালিকাভূক্ত করে এসব চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ঈদকে সামনে রেখে ওই ইউনিয়নের ৯ হাজার ৯৯৮টি কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৯ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন চাল। প্রতিটি কার্ডের অনুকূলে ১০ কেজি করে বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকের ভাগ্যে জুটেনি এ চাল। ত্রাণ বঞ্চিতদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলেও এখনও নেয়া হয়নি আইনি পদক্ষেপ।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দ দেয়া চাল গত ২৭ জুলাই ও ২৮ জুলাই সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী খেয়াল খুশিমত সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৩০ জুলাই বিতরণ শুরু করেন। এ সময় অধিকাংশ কার্ডধারী ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং একই কার্ডধারী একাধিক কার্ড নিয়ে চাল নিতে আসেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ কার্ডধারী প্রকৃত ভোক্তা নয়।

সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে আমন মানের চাল সরবরাহ করা হলেও কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় নিন্মমানের চাল। মান সম্মত চাল পরিবর্তন করে নিন্মমানের চাল বিতরণ করার সময় বিক্ষুব্ধ ভোক্তা সাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম, পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দা, একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার, একই ব্যক্তির কখনও স্বামী, আবার কখনও তার বাবার নাম লিখিয়ে এবং একই ব্যক্তির নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দেখিয়ে তালিকাভুক্ত করে তাদের নামে চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে।

এছাড়াও অনেক তালিকাভুক্ত দরিদ্র ব্যক্তিকে চাল দেওয়ার জন্য চাপ দেয়া হলেও তারা কোন চাল পায়নি। তারা চাল পাওয়ার আশায় এখনও চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছে।

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার অভিযোগ তদন্তে গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.  মো. রাশেদুল হক।

কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তা ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদ হাসান ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আল মিজানুর রহমান।

এ কমিটি গত ৫ আগস্ট সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও আজ পর্যন্ত নেয়া হয়নি আইনি পদক্ষেপ।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী ফোনে বলেন, আমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ পর্যন্ত কোন চিঠিপত্র আমি পাইনি।

এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার  জানান, ‘সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

আরও খবর

Sponsered content

error: ছি ! ছি !! কপি করার চেষ্টা করবেন না ।