ওয়াহেদ সরকার 19 August 2020 , 5:11:26 প্রিন্ট সংস্করণ
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বৃত্তিপাড়ার একটি রাস্তা দীর্ঘ দু- য়ুগ ধরে উন্নয়নের ছোয়া না পাওয়ায় খানা খন্দকে জ্বরাজীর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসীরা চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীর আবেদন সত্বেও পৌর কতৃপক্ষ ২৫ বছর ধরে তাকাবার সময় পায়না।
৬নং ওয়ার্ড সৈয়দপুর পৌর সভার অথনৈকিত জোন। এ ওয়ার্ডে সড়ক জনপথ,পাউবো উপ-বিভাগীয় ও বিভাগীয় দপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিশিক শিল্প নগরী,বিশিক প্রশিক্ষণ
কেন্দ্র, দুটি অটো রাইচ মিল, জেলার বৃহৎ বাস টার্মিনাল, বাস মালিক সমিতি, বিএডিসি সার গুদাম, এ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস, শুকনা মাছের ব্যবসা কেন্দ্র, দুটি জ্বালানী পাম্প, দুটি সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ও ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্র , চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন ছোট বড় শিল্প কারখানায় ভরপুর। এ ওয়ার্ডের বুক চিরে বঙ্গবন্ধু সড়ক টার্মিনালে মহা সড়কের
সাথে যুক্ত হয়েছে।
এ ওয়ার্ডের পূর্ব প্রান্তে শুটকি বন্দর, জুম্মা পাড়া, বিত্তি পাড়া ও দেওয়ানী পাড়া। এখানে প্রায় ৪/৫শ পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে জুম্মা পাড়ার মরহুম জমদ্দির বাড়ি হতে বিত্তি পাড়ার মধ্য দিয়ে দেওয়ানী পাড়া পর্য়ন্ত একটি কাঁচা সড়কের দুধারে প্রায় দুশতাধিক পরিবার। সড়কের পাশে প্রতিবেশি মরহুম জমদ্দির বাড়ি থেকে শাহিনের দোকান পর্য়ন্ত প্রায় ৩শ ফিট ইট বিছানো হলেও তা অতি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।এ সড়কটির দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া না পাওয়ায় প্রতিবছর বৃষ্টির পানিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে খানা খন্দকে জ্বরাজীর্ণ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যান বাহন তো দুরের কথা মানুষ পা ফেলতে পারে না। প্রশাসনের যান, অগ্নি নির্বাপকের গাড়ি, এ্য্রাম্বুলেন্সসহ কোন যান প্রবেশ করে না। জরুরী রোগী নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অবিভাবক শংকায় থাকেন।
এলাকাবাসী তাদের চলাচলের বেহাল অবস্থা নিরসনের জন্য পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের কাছে তুলে ধরেন। তিনি রাস্তাটি নির্মাণের আশ্বাস দেন। বিভিন্ন সমাবেশে
এসে রাস্তাটি নির্মানের ওয়াদা করেন । অফিসে বসে সব ভুলে যান। রাস্তাটি নির্মান হয় না। সামনে পৌর সভার নির্বাচন। ৫ বছর মেয়াদ শেষ হবে। এভাবে ২০টি বছর গত করলেন এলাকা বাসীকে ওয়াদা দিয়ে।
রাস্তাটি নির্মাণের কথা জানালে মেয়র বলেন কাজ করতে গেলে ঝাড়– বের হয়। কাজেই আমি সেখানে যাবো না। নির্বাচন আসলে তখন আর ঝাড়– বের হওয়ার কথা মনে থাকে না। রাস্তাটি নির্মানের জন্য এলাকার জাহিদুল হক, শেখ মাহাবুর রহমান, মাওলানা আজিজুল হক (কাজল), এড. গোলাম রব্বানী, এড. আবুল কালাম আজাদ, শফিকুল ইসলামসহ অনেকে পৌর সভায় গিয়ে অনুরোধ করেছেন।
চলতি বর্ষা চলাকালীন রাস্তাটির বেহাল অবস্থা হলে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিনুর আলম মিঠুকে অনুরোধ করা হয়। মিঠু বলেন এ রাস্তার খানা খন্দককে মাঠি ফেলে পুরণ করতে মেয়র আমজাদ হোসেনের নির্দেশ ছাড়া আমি পারবোনা।
এছাড়াও পৌর সভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া, কাউন্সিলর শাহিন, কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু সহ অনেকে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা দেখে তারাও মেয়রকে অনুরোধ করবে জানান। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসিনতায় এলাকাবাসী সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটির দুরাবস্থা দেখে বিভিন্ন পরিবহনের লোকজন এলাকার বাসিদের নানান ভাষায় ব্যঙ্গ করেন।