স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম দফতরি রাকিবকে স্কুলে আসতে বলেন। রাকিব আসার পর তাকে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করতে বলেন প্রধান শিক্ষক। কারণ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কক্ষগুলোতে ধুলোর আস্তরণ পড়ে গেছে। তবে রাকিব শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করতে সরাসরি অপারগতা প্রকাশ করেন। বন্ধের সময় কোনো রকম কাজ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক নিলুফার মাথায় ঘুষি মেরে বসেন রাকিব। এ সময় রাকিবের ভাই এসেও প্রধান শিক্ষককে গালাগালি করেন।
মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম বলেন, যে কোনো সময় তো স্কুল ওপেন হতে পারে। সেজন্য আমরা স্কুলের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তিন শিক্ষক স্কুলে যাই। এ সময় স্কুল অপরিষ্কার দেখে দফতরি রাকিবকে ফোন দেই। কিন্তু সে না আসায় লোক পাঠিয়ে তাকে আসতে বলা হয়। সে আসার পর আমি তাকে বলি স্কুলের সব শ্রেণিকক্ষ তো অপরিষ্কার। যে কোনো সময় টিইও কিংবা এটিইও স্যার স্কুল পরিদর্শনে আসতে পারেন। এসে এই অবস্থা দেখলে তোমারও চাকরি যাবে, আমাকেও শোকজ করবে। এগুলো শুনে সে আমাকে বলে, ‘তোর কথায় কি আমার স্কুল খুলা লাগবো? এই লকডাউনে স্কুল খোলা হয় নাই, তাইলে স্কুল পরিষ্কার করব কেন?’
নিলুফা খানম বলেন, মূল বিষয় হচ্ছে সে নেশা করে তারপর ঘুমায়। লোক পাঠিয়ে ঘুম থেকে তুলে আনায় আমার প্রতি সে চড়াও হয়েছে। সে আমার মাথায় ঘুষি মেরেছে, মারধর করেছে সবার সামনে। এ সময় পাগলা থানার এসআই আব্বাস সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনিই আমাকে উদ্ধার করেছেন এবং থানায় নিয়ে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পর স্থানীয় শিক্ষক সমিতির যারা আছেন তারা টিইও এবং এটিইওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এখন তারা যদি থানায় অভিযোগ দেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।